Agitation at Salt Lake: পাঁচ বছর পরও মেলেনি চাকরি, নিয়োগের দাবিতে রণক্ষেত্র সল্টলেক
Agitation at Salt Lake: টেট উত্তীর্ণ হওয়ার পর পাঁচ বছর কেটে গেলেও চাকরি মেলেনি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
কলকাতা : চাকরি প্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল সল্টলেক। নিয়োগে দাবিতে ফের একবার পথে নামলেন টেট উত্তীর্ণরা। বুধবারই চরম বিক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছিল নবান্নের সামনে। আর বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবন অভিযানের উদ্দেশে শুরু হয় মিছিল। সল্টলেকের কাছে মিছিল পৌঁছতেই বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হলে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সল্টলেক চত্বর। বিক্ষোভের মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তাঁরা। পাঁচ বছর কেটে গেলেও চাকরি হয়নি কারও। মোট ৯,৮৯৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন বলে দাবি তাঁদের। এর আগে এই একই দাবি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কেউ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবি তুলেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পাঁচ বছরের বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিতে হবে, হাতে লেখা ব্যানারে এমন দাবিই জানান তাঁরা। কিন্তু বিকাশ ভবনে পৌঁছনোর অনেক আগেই তাঁদের আটক করা হয়। টেনে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিক্ষোভের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অসুস্থ চাকরি প্রার্থীদেরও ওই জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলে পুলিশ। পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। প্রিজন ভ্যান থেকেও বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন, বারবার আন্দোলন করলেও সরকার তাঁদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না।
উল্লেখ্য, বুধবার নবান্নের সামনে যাঁরা আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা ২০১৪- টেট পরীক্ষার্থী। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও চাকরি হয়নি বলে অভিযোগ। এই দাবি নিয়ে বুধবার তুলকালাম হয় নবান্ন চত্বরে।
সম্প্রতি আদালতে পরপর প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত কয়েকটি মামলা সামনে এসেছে। একটি মামলায় অভিযোগ, টেট ফেল করা সত্ত্বেও চাকরি হয়েছে এক ব্যক্তির। প্রাথমিকের মামলায় পর্ষদের কাছে জবাব তলবও করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর আন্দোলন নতুন মাত্রা নিয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলায় আগেই দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক মামলায় নির্দেশ অনুসারে সিবিআই তদন্তও শুরু হয়েছে। মন্ত্রী পরেশ অধিকারী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একাধিকবার তলবও করা হয়েছে। তবে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন জারি রয়েছে রাজ্যে।