Group-D agitation: ‘আর সহ্য করতে পারছি না’, চাকরির দাবিতে গ্রুপ-ডি চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে ফের উত্তাল রাজপথ
Group-D agitation: বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পেয়ে যতীন দাস মেট্রো স্টেশনের কাছে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা মেট্রো স্টেশন দিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে নেমে এলেই তাঁদের ঠেকাতে তৎপর হয় পুলিশ।
কলকাতা: বিক্ষোভ চলছিলই। এদিন ফের একবার গর্জে উঠলেন গ্রুপ-ডি (Group-D) চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তাঁদের বঞ্চনার কোনও সুরাহা হচ্ছে না। তাঁদের কথা শুনছে না সরকার। নিয়োগ হচ্ছে গ্রুপ-ডি (Group-D agitation) তে। সে কারণেই তাঁরা আজ যতীন দাস পার্কের কাছে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সূত্রের খবর, আন্দোলকারীরা মেট্রো থেকে বের হওয়া মাত্রই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। তাঁদের চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে গিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে রাস্তাতেই বসে এক চাকরিপ্রার্থী হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, “নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।” তিনি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু তখনই তাঁকে চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এদিন দুপুরে যতীন দাস পার্কের ক্রসিংয়ের নানা প্রান্তেই দেখা গেল এই ছবি।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী অসুস্থও হয়ে পড়েন বলে খবর। রাস্তাতে শুয়ে আরও এক নিয়োগের জন্য আকুল প্রার্থনা করতে দেখা গেল আর এক চাকরিপ্রার্থীকে। হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, “আমরা নিয়োগ চাই। এইভাবে আর সহ্য করতে পারছি না। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে কলকাতার বুকে আমরা নানা কর্মসূচি নিয়েছি। বিশ্বাস করুন আর পারছি না।” যদিও তাঁর কথা শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে পাঁজাকোলা করে প্রিজন ভ্যানে তুলে ফেলে পুলিশ।
এদিকে বিক্ষোভ কর্মসূচির খবর পেয়ে যতীন দাস মেট্রো স্টেশনের কাছে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীরা মেট্রো স্টেশন দিয়ে বিক্ষোভ করতে করতে নেমে এলেই তাঁদের ঠেকাতে তৎপর হয় পুলিশ। দেওয়া হয় বাধা। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। অন্যদিকে এদিন আন্দোলনকারীরা প্রত্যেকে হাতে একটা করে চিরকুট নিয়ে আসে। তাতে নিজেদের বক্তব্য, বঞ্চনার কথা, রাজ্যে দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া লিখে রাখে। মূলত ইন্ডিয়া জোটকেই হ্যাশট্যাগ করেছে বলে দাবি করে যান আন্দোলনকারীরা। যদিও বিক্ষোভ শুরুর আগেই তাঁদের রাস্তা থেকে হটিয়ে দেয় পুলিশ।