Justice Ganguly: ‘সারদার মতো হতে দেওয়া যাবে না’, ৫০ কোটির সমবায়-দুর্নীতি নিয়ে সতর্ক করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
Justice Ganguly: প্রাথমিকভাবে এই তদন্তের দায়িত্ব ছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার সিআইডি-র হাতে। ৫ জন গ্রেফতার হলেও আমানতকারীরা টাকা ফেরত না পাওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপরই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হয়।
কলকাতা: ৫০ কোটি টাকার সমবায় দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর ভরসা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। ইডি ও সিবিআই ওই মামলার তদন্ত করবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে সেই নির্দেশই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। এবার আলিপুরদুয়ারের সেই মামলার তদন্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সতর্ক করলেন বিচারপতি। আবার একটা সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মতো কিছু না ঘটে, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন তিনি। তদন্ত কোন পথে এগোচ্ছে, সে ব্যাপারে আদালতে রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আগামী ১৮ অক্টোবর রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের আশা, এই দুর্নীতির ক্ষেত্রে তদন্তে সিবিআই ও ইডি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করবে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করবে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “কালপ্রিট যে কাউকে কিনতে পারে। এই তদন্ত সরদার মতো হতে দেওয়া যাবে না।” প্রাথমিকভাবে এই তদন্তের দায়িত্ব ছিল রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থার সিআইডি-র হাতে। ৫ জন গ্রেফতার হলেও আমানতকারীরা টাকা ফেরত না পাওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপরই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হয়। ইডি ও সিবিআই-কে সিআইডি কোনও তথ্য না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও ধার্য করেছিলেন সিআইডি-র জন্য।
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার নির্দেশ বহাল থাকে। তবে সিআইডি-কে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ খারিজ হয়ে যায়।
আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল প্রথমে। এই মামলায় বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘গরীবের টাকা নিয়ে আপনারা ছেলেখেলা করছেন।’ এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা আসল অপরাধীদের সামনে আনতে পারে কি না, সেটাই দেখার।