Abhishek Banerjee: সব মাতাল, চোর-চিটিংবাজরাই বিজেপিতে: অভিষেক

Abhishek Banerjee: অভিষেকের মুখে এদিন ফের শোনা যায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথাও। উঠে আসে নিট কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ। দুই ইস্যু ধরেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শান দেন। সাম্প্রদায়িক বিভাজনের প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিতে গিয়ে আরও বলেন, “আমরা মানব সেবায় বিশ্বাস করি। আমরা ধর্ম বাড়িতে করি। ঠাকুরের ঘরে বসে ধর্ম করি। আমরা যখন মানুষের ভোটে নির্বাচতি তখন আমাদের কোনও ধর্ম নেই। আমাদের একটাই ধর্ম, মানব ধর্ম।”

Abhishek Banerjee: সব মাতাল, চোর-চিটিংবাজরাই বিজেপিতে: অভিষেক
একুশের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jul 21, 2024 | 2:40 PM

কলকাতা: সব মাতাল, দুর্নীতিগ্রস্ত, চোর-চিটিংবাজেরা বিজেপিতে রয়েছে। একুশের মঞ্চ থেকে এদিন এ ভাষাতেই বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উঠে এল সন্দেশখালির প্রসঙ্গও। আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এমনকী নিট কেলেঙ্কারির জন্য ধর্মেন্দ্র প্রধানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না সেই প্রশ্নও করেন। সুর চড়ান বিজেপির বঞ্চনা নিয়েও। 

এদিন সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সন্দেশখালিতে একটা চিত্রনাট্য সাজিয়ে বাংলাকে গোটা ভারতের কাছে কলুষিত করতে চেয়েছিল ওরা। সন্দেশখালি দু নম্বর ব্লকের মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল তো বলেছেন, ভোটের দিন প্রতি বুথে বিজেপির মদের খরচ ছিল ৫ হাজার টাকা।”

এরপরই একেবারে হিসাব কষে বুঝিয়ে দেন মদের পিছনে ভোটের দিন মোট কত খরচা করেছিল পদ্ম শিবির। যা নিয়েও বর্তমানে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। একুশের মঞ্চ থেকে মমতার সঙ্গে তুলনা করে বিজেপিকে একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, “বাংলায় আশি হাজার বুথ। নির্বাচনের দিন বিজেপি মদ খাওয়ানোর জন্য খরচ করেছে ৪০ কোটি টাকা। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একশো দিনের ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দিয়ে প্রায় ৫৯ লক্ষ গরিব শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দিয়েছিল। কথা রেখেছিলেন। এটাই ওদের সঙ্গে পার্থক্য।” এখানেই না থেমে আক্রমণের সুর আরও চড়া করে অভিষেক বলেন, “বিজেপি সাম্প্রদায়িক বিভাজন করে, মদ খাওয়ানোর জন্য ৪০ কোটি টাকা খরচ করে। কোনও ভদ্রলোক বিজেপি করে না। সব মাতাল, দুর্নীতিগ্রস্ত, চোর-চিটিংবাজেরা বিজেপিতে। সে কারণেই তো মানুষ এদের বর্জন করেছে। ওরা জনগনের নয়, নরেন্দ্র মোদীর গর্জনে বিশ্বাস করেছিল।”