Promoter Close to Partha Chatterjee: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট দেননি ‘দেবু’, ভূরি ভূরি অভিযোগ পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের বিরুদ্ধে

Promoter Close to Partha Chatterjee: বোলপুরে পার্থ-র সম্পত্তি 'অপা'র নথিতে ছিল এই দেবাশিস সরকারের নাম। এলাকাতেও পার্থ-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত তিনি।

Promoter Close to Partha Chatterjee: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট দেননি 'দেবু', ভূরি ভূরি অভিযোগ পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের বিরুদ্ধে
এলাকায় বেশ পরিচিত নাম প্রোমোটার 'দেবু'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2022 | 8:40 PM

কলকাতা: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে কোথা থেকে এল এত টাকা? সেই তদন্ত করছে ইডি। এরই মধ্যে বিভিন্ন সূত্রে সামনে আসছে একাধিক অভিযোগ। শুধু অর্পিতা নয়, পার্থ-ঘনিষ্ঠ হিসেবে সামনে আসছে একের পর এক নাম, কেউ অধ্যাপিকা, কেউ প্রোমোটার। এবার নাকতলা এলাকার এক প্রোমোটার দেবাশিস সরকারের বিরুদ্ধে সামনে এল বিস্ফোরক অভিযোগ। বছরের পর বছর লক্ষাধিক টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট দেননি ক্রেতাদের। এমনকী, ক্রেতাদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশনের টাকাও হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি পার্থ-র সম্পত্তির দলিলে উঠে আসে তাঁর নাম। TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে দেখা যায় দেবাশিস বাবুর মোবাইল বন্ধ।

কে এই  দেবাশিস সরকার?

সম্প্রতি বোলপুরে পার্থ-অর্পিতার বাড়ি ‘অপা’র হস্তান্তরের একটি নথি সামনে এসেছে। যাঁদের উপস্থিতিতে জমি হস্তান্তরের চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে, সেই কলামে সই রয়েছে দেবাশিস সরকারের। তিনি দক্ষিণ কলকাতার একজন প্রোমোটার। নাকতলা, গড়িয়া এলাকায় তাঁর পরিচিতি রয়েছে। দেবু বললেই এক ডাকে সবাই চেনেন তাঁকে.

কী অভিযোগ?

২০০৮ থেকে ফ্ল্যাট তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। অভিযোগ, ২০১১-তে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ফ্ল্যাট বাবদ কারও কাছ থেকে ২৫ লক্ষ তো কারও কাছ থেকে ২৩ লক্ষ টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট দেননি বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ পদক্ষেপই করেনি বলে দাবি অভিযোগকারীদের। TV9 বাংলা এমন অন্তত ১০ জন অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে।

অনেকে অভিযোগ করছেন, ফ্ল্যাট দিতে বললে সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যাযের নাম নিতেন এই দেবাশিস সরকার।

দেবাশিসের বিরুদ্ধে হওয়া একটি এফআইআরের কপি

২৫ বা ৩৫ লক্ষ দিয়েও মেলেনি ফ্ল্যাট, প্রতারিতরা কী বলছেন?

সমর দাস নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫.৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি। রেজিস্ট্রির সাড়ে ৫ লক্ষ টাকাও দিয়েছেন দেবাশিস সরকারকে। নয়নেন্দু বাগচি নামে আর এক ব্যক্তি জানান, ২০০৯ থেকে ২০১০-এর মধ্যে ১৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে আরও ১০ লক্ষ টাকা দেন। রেজিস্ট্রির টাকাও চেয়েছিলেন দেবাশিস ওরফে দেবু, কিন্তু তা দিতে রাজি হননি নয়নেন্দু বাবু। তাঁদের দাবি, তাঁদের যে ফ্ল্য়াটটি দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে বর্তমানে অন্য কেউ বসবাস করেন। অর্থাৎ একই ফ্ল্যাট একাধিক লোককে বিক্রি করা হয়েছে বলেও দাবি।

জমি দিয়েও প্রতারিত!

এর মধ্যে এমন একজন আছেন যিনি নিজের জায়গায় প্রোমোটিং করতে দিয়েছিলেন এই দেবাশিস সরকারকে। বাইরে চাকরি করায় ফ্ল্যাট নিয়ে তালাবন্ধ করে রেখে চলে যান তিনি। পরে এসে দেখেন সেই ফ্ল্যাটে থাকছে অন্য পরিবার। শেষে পুলিশে অভিযোগ করেও সুরাহা না মেলায় দ্বারস্থ হন পুলিশ কমিশনারের।

কোথায় সেই দেবাশিস সরকার?

TV9 বাংলার তরফে দেবাশিস সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়। তাঁর মোবাইল বন্ধ। তাঁর অফিসের কেয়ারটেকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাফ জানান, ‘মালিক’ কোথায় তাঁর জানা নেই। তবে কলকাতায় নেই, এটুকু বলতে পেরেছেন ওই কেয়ারটেকার। বারবার প্রশ্ন করায় বিরক্তও হন তিনি।

কোন অদৃশ্য ক্ষমতাবলে এ ভাবে দিনের পর দিন টাকা নিয়েছেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। বিষয়টা তদন্ত সাপেক্ষ, তবে, স্থানীয় এক বাসিন্দা স্পষ্ট দাবি করছেন, এই ক্ষেত্রেও অনেক টাকাই নিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।