Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud Case: বাড়িতে এসে বুস্টার ডোজ়ের নামে মোবাইলে লিঙ্ক, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফাঁকা ফিক্সড ডিপোজিট

Fraud Case: করোনা টিকার বুস্টার ডোজ় দেওয়ানোর নাম করে ফোন করা হয়েছিল নেতাজি নগরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধকে। নির্মল কুমার সেন নামে ওই বৃদ্ধকে ফোনের ওপার থেকে বলা হয় তারা স্বাস্থ্য দফতরের লোক।

Fraud Case: বাড়িতে এসে বুস্টার ডোজ়ের নামে মোবাইলে লিঙ্ক, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফাঁকা ফিক্সড ডিপোজিট
সিসিটিভি ফুটেজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 5:03 PM

কলকাতা: ভ্যাকসিন দেওয়ানোর নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা (Fraud Case)। করোনা টিকার বুস্টার ডোজ় দেওয়ানোর নাম করে ফোন করা হয়েছিল নেতাজি নগরের বাসিন্দা এক বৃদ্ধকে। নির্মল কুমার সেন নামে ওই বৃদ্ধকে ফোনের ওপার থেকে বলা হয় তারা স্বাস্থ্য দফতরের লোক। বলে, বুস্টার ডোজ় সংক্রান্ত কাজের জন্য ওই বৃদ্ধের বাড়ি যেতে হবে। সেই কারণে, তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানতে চায়। বৃদ্ধ তখন কিছু বুঝতে পারেননি, ভেবেছিলেন হয়ত সত্যিই স্বাস্থ্য দফতর থেকে ফোন এসেছে। তাই ঠিকানা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাজি নগরের বাড়ির ঠিকানা দিয়ে দেন বৃদ্ধ।

ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৭ ডিসেম্বর। ফোন করে ঠিকানা নিয়ে ওই দুইজন ওই বৃদ্ধের বাড়িতেও আসে। এক পুরুষ এবং এক মহিলা। মহিলার গলায় আবার একটি আইকার্ড জাতীয় জিনিসও ঝোলানো ছিল। তারা বৃদ্ধের থেকে বুস্টার ডোজ়ের জন্য নাম নথিভুক্ত করার অছিলায় বেশ কিছু তথ্য নেয় এবং বৃদ্ধের মোবাইলে একটি লিঙ্ক পাঠায়। বলা হয়, ওই লিঙ্কে ক্লিক করে বুস্টার ডোজ়ের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে এবং যতক্ষণ না নাম নথিভুক্ত হচ্ছে, ততক্ষণ বুস্টার ডোজ় দেওয়া যাবে না। এই বলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।

পরবর্তী সময়ে সেদিন সন্ধেয় ব্যাঙ্কের থেকে একটি মেসেজ আসে বৃদ্ধের ফোন। টাকা তোলার মেসেজ। তখনও বিষয়টি পুরোপুরি বুঝতে পারেননি তিনি। ব্যাঙ্কের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর তাতেই কপালে হাত বৃদ্ধের। বুঝতে পারেন, মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বৃদ্ধের যে ২ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজ়িটটি ছিল, সেটিরও পুরোটাই কেউ তুলে নিয়েছে। বিষয়টি অনুধাবন করতেই নেতাজি নগর থানার দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান বিষয়টি নিয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে এক মহিলা ও এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাইবার সেলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু কীভাবে ওই লক্ষাধিক টাকা খোয়া গেল… কীভাবেই বা ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা ভেঙে নিল প্রতারকরা, সেই নিয়ে এখনও ধন্ধে রয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।