Murder in Kolkata: ভরসন্ধেয় বাড়িতে ঢুকে প্রৌঢ়াকে কুপিয়ে ‘খুন’, গুরুতর জখম নাবালক সন্তান, রক্তারক্তি কলকাতায়
Crime in Kolkata: বাড়ির ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল প্রৌঢ়ার নিথর দেহ। গুরুতর জখম অবস্থায় কাতরাচ্ছিল তাঁর সন্তান। বাড়ির দরজা অর্ধেক খোলা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কেউ বা কারা বাড়ির ভিতরে ঢুকে প্রৌঢ়া ও তাঁর নাবালক সন্তানের উপর হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
কলকাতা: ভরসন্ধেয় কলকাতায় এক প্রৌঢ়াকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। বড়তলা থানা এলাকার রাইবাগান স্ট্রিটে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত প্রৌঢ়ার নাম মীনাক্ষী ভট্টাচার্য। বয়স ৫৫ বছর। হামলা হয়েছে প্রৌঢ়ার নাবালক পুত্রের উপরেও। বছর পনেরোর ওই কিশোরকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাড়ির ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল প্রৌঢ়ার নিথর দেহ। গুরুতর জখম অবস্থায় কাতরাচ্ছিল তাঁর সন্তান। বাড়ির দরজা অর্ধেক খোলা অবস্থায় ছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কেউ বা কারা বাড়ির ভিতরে ঢুকে প্রৌঢ়া ও তাঁর নাবালক সন্তানের উপর হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
রাইবাগান স্ট্রিটের ধারে দোতলা ওই বাড়ির একতলায় থাকতেন মীনাক্ষী ভট্টাচার্যরা। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। স্বামী সুশান্ত ভট্টাচার্য ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। মীনাক্ষীদেবীর স্বামী সুশান্তের একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান রয়েছে। জানা যাচ্ছে, সন্ধে সাতটা নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রৌঢ়ার স্বামী সেই সময় দোকানে ছিলেন। এদিকে দোতলা ওই বাড়িটির উপরের তলায় থাকেন সুশান্তবাবুর দাদারা। যদিও তাঁদের কারও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
গুরুতর জখম অবস্থায় ওই নাবালক ছোটাছুটি করছিল। যন্ত্রণার কাতরাচ্ছিল। গোটা শরীর রক্তে মাখামাখি। তখনই প্রতিবেশীদের নজরে আসে বিষয়টি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর প্রতিবেশীর বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখেন গোটা মেঝে রক্তে মাখামাখি। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গোটা চত্বর ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, বাড়িতে কারা ঢুকেছিল, সেই সব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ তরুণ হালদারও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। তিনি জানালেন, প্রৌঢ়ার শরীরে একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে কোনও কিছু খোয়া যায়নি বলেই প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। বাড়ির ভিতরে একজন ঢুকেছিল, নাকি অনেকজন মিলে ঢুকেছিল তাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।