RG kar: সন্দীপ ঘোষের বদলি কি ‘আইওয়াশ’? আগের রাতেই নাকি… সাংঘাতিক দাবি চিকিৎসক নেতার
Sandip Ghosh: চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, "উনি নাটক করলেন। এভাবে রেজিগনেশন দেওয়া যায় না। এক মাসের নোটিস লাগে। আর ওনাকে যে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাবে আমাদের কাছে আগেই খবর ছিল। এটাই হতে চলেছে আমরা জানতাম। এটা প্রিপ্ল্যান্ড।"
কলকাতা: আরজি কর থেকে ইস্তফা দেওয়ার ৫-৬ ঘণ্টার মধ্যেই জানা যায় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে যোগ দিচ্ছেন সন্দীপ ঘোষ। সোমবারের এই ঘোষণা ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, অধ্যক্ষের ইস্তফা কি তাহলে একটা আইওয়াশ? সূত্রের খবর, রবিবারই স্বাস্থ্য ভবনের বৈঠকে সন্দীপের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়।
শুধু তাই নয়, সূত্রের দাবি, সোমবার সকালে ন্যাশনালের অধ্যক্ষ পদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়ে যায়। তড়িঘড়ি অজয় রায়কে স্বাস্থ্যভবনে ওএসডি করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার সকালেই সন্দীপ ঘোষের বদলি সংক্রান্ত কাগজ তৈরি হয়ে যায় স্বাস্থ্যভবনে, সূত্র মারফত খবর।
এমনও শোনা যাচ্ছে, এরপরই আরজি করে ইস্তফার ‘নাটক’ করেন সন্দীপ ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর লেখালেখি চলছে। আরজি করে দাঁড়িয়ে সন্দীপের বিদায়ী ভাষণকেও অনেকে বলছেন ‘স্ক্রিপ্টেড’। আন্দোলনকারী ও চিকিৎসক সংগঠনগুলিও তেমনটাই বলছে। তাঁরাও বলছেন, আরজি কর থেকে ন্যাশনালে সরানোর সিদ্ধান্ত আগেই হয়ে যায়। যদিও সন্দীপ ঘোষ অস্বীকার করেছিলেন, এরকম কোনও নির্দেশিকা তাঁর কাছে নেই। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, কোনও স্বার্থ কায়েম করতেই এমনটা করা হল। উঠে আসছে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র কথাও।
চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা বলেন, “উনি নাটক করলেন। এভাবে রেজিগনেশন দেওয়া যায় না। এক মাসের নোটিস লাগে। আর ওনাকে যে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাবে আমাদের কাছে আগেই খবর ছিল। এটাই হতে চলেছে আমরা জানতাম। এটা প্রিপ্ল্যান্ড। ওনাকে তদন্তের আওতায় আনা হলে অনেক কিছু বেরিয়ে যেতে পারে। হাড় হিম করা যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তারও রহস্য উন্মোচন হয়ে যেতে পারে।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)