RG Kar Case: চাপে পড়ে ১৫ দিনের জন্য ছুটিতে চলে গেলেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ

Calcutta High Court: সোমবার সকালে আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেন সন্দীপ ঘোষ। স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন তিনি। শুধু তাই নয়, সরকারি চাকরি ছেড়ে দেবেন বলেও দাবি করেন। কিন্তু বিকেলেই ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে বহাল করা হয় তাঁকে।

RG Kar Case:  চাপে পড়ে ১৫ দিনের জন্য ছুটিতে চলে গেলেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2024 | 3:08 PM

কলকাতা: আরজি কর সংক্রান্ত মামলার প্রথম দিনের শুনানিতেই একাধিক প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি, হাইকোর্টে নজরে এবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সোমবার সকালে আরজি কর থেকে পদত্যাগ করলেও, বিকেলেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদ দেওয়া হয়। কতটা ক্ষমতাশালী লোক যে তাঁকে কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই এভাবে ‘পুরস্কার’ দেওয়া হল? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। শুধু তাই নয়, সন্দীপ ঘোষ যাতে ছুটিতে চলে যান, সেই নির্দেশও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে কী কী বললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

কেন প্রিন্সিপ্যালকে পুনর্নিয়োগ করা হল, “এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, সকালে প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করলেন মরালিটি দেখিয়ে। আশ্চর্যজনকভাবে রিওয়ার্ড দিয়ে বিকেলে তাঁকেই অন্য জায়গায় বসানো হল।”

এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি হলফনামা চাইলে, রাজ্য বলে, ‘আমরা হলফনামায় আপত্তি করছি না।’

সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কীভাবে একজন ইস্তফা দেওয়ার পর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ফেরত আনা হল? আপনি কি এত পাওয়ারফুল লোক? আপনি হাসপাতালের অভিভাবক। আপনার যদি নির্যাতিতার প্রতি সহানুভূতি না থাকে, তাহলে আর কার থাকবে? কোনও মানুষ আইনের উর্ধ্বে নয়।”

প্রধান বিচারপতি এদিন সন্দীপ ঘোষের ইস্তফাপত্র ও নতুন নিয়োগপত্র দেখতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা দেখতে চাই, পদত্যাগ পত্রে কী লিখেছেন ওই প্রিন্সিপাল?”

সব শেষে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আজ বিকেল তিনটের মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে বলুন ছুটির আবেদন করে লম্বা ছুটিতে যেতে, নাহলে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেব।”