Allegations of medical negligence: ‘ওপেন হার্ট সার্জারির পর দেখতে এলেন না কোনও সিনিয়র চিকিত্‍সক’, কাঠগড়ায় শহরের বড় বেসরকারি হাসপাতাল

Allegations of medical negligence: ওপেন হার্ট সার্জারির পর রোগীর আত্মীয়রা জোর করে আইসিইউ যান। বাইরে থেকে তাঁরা দেখতে পান রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে।

Allegations of medical negligence: 'ওপেন হার্ট সার্জারির পর দেখতে এলেন না কোনও সিনিয়র চিকিত্‍সক',  কাঠগড়ায় শহরের বড় বেসরকারি হাসপাতাল
চিকিত্সার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 7:33 AM

কলকাতা: চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল শহরের আরও এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা। বেসরকারি হাসপাতালের সামনেই বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিবারের সদস্যরা। মৃতার নাম সরস্বতী পাল (৬২)।

জানা গিয়েছে, সরস্বতী বেহালার শিল পাড়ার বাসিন্দা। হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে তিনি প্রথমে ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে বেশ কিছুদিন চিকিত্সাধীন ছিলেন। তবে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাঁকেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

২৫ তারিখ কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তারপর থেকে সেখানেই চিকিত্সাধীন ছিলেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, ২৫ তারিখই সরস্বতীর আঞ্জিওগ্রাম করা হয়। তাতে ভাল্ভ-এ সমস্যা ধরা পড়ে। চিকিত্সকরা ওপেন হার্ট সার্জারির পরামর্শন দেন।

চিকিত্সকদের পরামর্শ মেনেই ২৭ তারিখ অর্থাত্ শনিবারে ওপেন হার্ট সার্জারি হয় সরস্বতীর। তারপর থেকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কিন্তু অভিযোগ, পরিবারের সদস্যদের সেকথা জানানোই হয়নি। এমনকি ২৫ তারিখ ভর্তি করানোর পর একবারের জন্য রোগীকে দেখতে দেওয়া হয়নি।

ওপেন হার্ট সার্জারির পর রোগীর আত্মীয়রা জোর করে আইসিইউ যান। বাইরে থেকে তাঁরা দেখতে পান রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। রোগীর পরিবারের বক্তব্য অনুসারে, বারবার সে সময় চিকিত্সকদের ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কোনও চিকিত্সই সেসময় আসেননি। এমনকি অনুরোধ করার পরও কোনও চিকিত্স সেখানে যাননি।

রবিবারই রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় সরস্বতীর। রোগীর পরিবার জানাচ্ছেন, সেসময় আইসিইউ-তে কোনও সিনিয়র চিকিত্সক ছিলেন না। সরস্বতীর মৃৃত্যুর পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। বেসরকারি হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। চিকিত্সার গাফিলতিতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

রোগীর এক আত্মীয়ের কথায়, “অবস্থা খারাপ হতে শুরু করেছিল, আমরা তা দেখেই বুঝতে পারছিলাম। বারবার সিনিয়র চিকিত্সকদের ডাকছিলাম। কিন্তু সেসময় কেউই এলেন না। সঠিক সময়ে নজরদারি হলে বেঁচে যেতেন।”

আরেক আত্মীয়ের কথায়, “২৫ তারিখ ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু তারপর থেকে একবারের জন্য়ও আমাদের রোগীর কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। অপারেশনের পরও যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। আমরা জোর করে ভিতরে ঢুকে দেখে একা পড়ে রয়েছে। আশেপাশে কোনও চিকিত্সক নেই। ভিতরে না ঢুকলে তো আসল অবস্থা জানতেই পারতাম না।”

রোগীর মৃত্যুর পর বেসরকারি হাসপাতালের সামনে পরিবারের সদস্যরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। রোগীর পরিবারের সদ্যদদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত থানায় এখনও পর্যন্ত লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি রোগীর পরিবার। এ প্রসঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আরও পড়ুন: নাম থাকতে পারে ‘শহিদ’ পরিবারের সদস্যের, সোমবারই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির