Amit Malviya: ‘বোমা তৈরির কারখানাই এখন বাংলার একমাত্র শিল্প!’ চাকরি প্রার্থীদের উপর লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে টুইটারে কটাক্ষ অমিতের
Murshidabad: ১২০০ পদের জন্য লক্ষাধিকের আবেদন ঘিরে হয় এই বিশৃঙ্খলা।
কলকাতা: আজ মুর্শিদাবাদে ফর্ম জমা দিতে আসা চাকরি প্রার্থীদের উপর লাঠি চালায় পুলিশ। ১২০০ পদের জন্য প্রায় লক্ষাধিক বেকার যুবক এসে উপস্থিত হয় বহরমপুর স্টেডিয়ামে। সেইখানেই বিশৃঙ্খলার জেরে পুলিশের প্রহার খেতে হয় চাকরি প্রার্থীদের। এদিকে, বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধতে ছাড়েননি বিরোধীরা। রাজ্যে যে কর্মসংস্থান কিছুই হচ্ছে না রীতিমতো আঙুল দিয়ে যেন সরকারকে দেখিয়ে দিলেন তাঁরা।
চাকরিপ্রার্থীদের উপর প্রহারের ভিডিওটি তুলে টুইটারে পোস্ট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। একরাশ ক্ষোভ নিয়ে তিনি লেখেন, “মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতিদিন বাংলার যুবসমাজকে ঠেলে দিচ্ছে বেকারত্বের দিকে। এটাই হয় যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের কাজ না করে অন্য কিছু করেন। পশ্চিমবাংলায় কোনও চাকরি নেই, নেই কোনও শিল্প। অবৈধ বোমা তৈরির কারখানাই এখানে একমাত্র জীবিত শিল্প।”
Mamata Banerjee’s administration is caning jobless youth in Bengal.
This is what happens when the CM, instead of focussing on the job on hand, goes out looking for another one.
There are no jobs, no industries in WB. Illegal bomb making factories is the only surviving industry! https://t.co/3jwGtBOUCI
— Amit Malviya (@amitmalviya) December 4, 2021
কয়েকদিন আগে মন্ত্রী হুমায়ূন কবির (Humayun Kabir) ও জেলার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে জেলারই প্রায় ১২০০ বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়। এরপর আজ হরমপুর স্টেডিয়ামে কর্মসংস্থানের জন্য ফর্ম জমা নেওয়া হয়।
এবার ফর্ম জমা দিতে মাঠে হাজির হয় মুর্শিদাবাদের প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষিত বেকার যুবক। কিন্তু সকাল থেকেই সেই লাইনে দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। ফর্ম জমা দেওয়ার আগেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাইনের মাঝে লাঠি চালাতে শুরু করে পুলিশ।
ফর্ম জমা দিতে আসা যুবদের একজন বলেন, “সরকার আমাদের চাকরী দিক, লাগবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ফ্রি রেশন। আমাদের মতো বেকার যুবদের চাকরি দিক আগে মমতার সরকার।” অন্য আরেক যুবক বলেন, “আমি আগে ভাবতাম যে পশ্চিমবঙ্গে বেকার সংখ্যা কম। কিন্তু এখানে এসে দেখছি অন্য পরিস্থিতি।ভুল ভেঙে গেল আমার। এখানে শুনেছি যে ১২০০ ছেলে নেওয়া হবে। কিন্তু এসে দেখি ১২ লক্ষ ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে।অনেক আশা নিয়ে এখানে এসেছি। আমি গ্রাজ্যুয়েট। কিন্তু এসেছি এই উচ্চ-মাধ্যমিক পাশের জন্য যে চাকরি তার জন্য।”