Anis Khan Death Case: ওসিকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল, অথচ জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না? আনিস মামলায় প্রশ্ন আদালতের
Anis Khan Death Case: আনিস খানের মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। যদিও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে আনিসের পরিবার।
কলকাতা : আনিস খানের মৃত্যুর পর বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। ছাত্রনেতার মৃত্যুতে আসলে কারা দায়ী, সেই উত্তর মেলেনি এখনও। সেই মামলায় এবার তদন্তের রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। তবে এই মামলায় কেন ওসি-কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল আদালত।
আনিস খান হত্যা-কাণ্ডে আদালতের তত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলা হয়েছিল। শুক্রবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে শুনানি হয় এ দিন। শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের দেওয়া খামবন্দি রিপোর্ট জমা দেয় আদালতে। বিচারপতি এ দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, আমতা থানার ওসি দেবব্রত চক্রবর্তীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে কি না! রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ নম্বর ধারা অনুসারে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
কিন্তু ১৬৪ নম্বর ধারা অনুসারে এখনও কোনও বয়ান কেন রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছে রাজ্য। আর সেখানেই আদালতের প্রশ্ন, গোপন জবানবন্দি নিতে কেন এত দেরি? রাজ্য তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিল অথচ জিজ্ঞাসাবাদ করল না কেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও অন্যন্য রিপোর্ট এলেও ফরেনসিক রিপোর্ট আসতে আরও দু সপ্তাহ সময় লাগবে বলে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে। আনিসের বাবার পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের রিপোর্টের কপি তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে রিপোর্টের কপি দিতে বলা হয়েছে। মামলাকারীদের পক্ষে সওয়াল করা হবে আগামী সোমবার। এজি এ দিন জানিয়েছেন, নারদা মামলার থেকেও দ্রুত আসবে ফরেন্সিক রিপোর্ট। মৃত্যুর ১৭ দিন পর জমা পড়ল এই রিপোর্ট।
আমতার সারদা দক্ষিণ খাঁ পাড়ায় ছাত্রনেতা আনিস খানকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে খুন করার অভিযোগ ওঠে। আনিসের পরিবারের লোকজনের দাবি, আমতা থানার একজন পুলিশ আধিকারিক এবং তিনজন সিভিক ভলান্টিয়ার এই ঘটনায় যুক্ত। আনিসের পরিবারের তরফে অভিযোগ, বাগনান কলেজে পড়ার সময় আনিস এসএফআই করতেন। এই কলেজে ছাত্র রাজনীতি করার সময়ই বাগনান থানায় এই অভিযোগ দায়ের হয়। পরিবারের দাবি, মাঝে এতগুলো বছর কোনও সমন আসেনি। হঠাৎই এর মধ্যে গত ১৮ ফেব্রুয়ারির বাড়িতে চড়াও হয় পুলিশ। সে দিন রাতেই মৃত্যু হয় আনিসের।
আরও পড়ুন : Madan Mitra: মুখে ব্যান্ডেজ, হাতে লেখা ‘গলায় ব্যথা, পায়ে সর্ষে’… এসএসকেএম থেকে বেরোলেন এ কোন মদন মিত্র!