Bansdroni Student Missing: মেট্রো স্টেশনের বাইরে সাইকেল দাঁড় করিয়ে টিকিট কাটে, দমদমগামী মেট্রোয় ওঠে, রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ নব নালন্দা স্কুলের ছাত্র
Bansdroni Student Missing: পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, আর্ভর বাবা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বেসরকারি সংস্থার কাজ করেন। শনিবার অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মা বিকালে পাশের পাড়াতেই পিসির বাড়িতে যান।
কলকাতা: রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ নব নালন্দা স্কুলের ছাত্র। নিখোঁজ ছাত্রের নাম আর্ভ হালদার। তার বাড়ি বাঁশদ্রোণী কালীতলা এলাকায়। পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে,মাস্টার দা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশনে শেষ তার সাইকেল দেখা যায়। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের দাবি, যে টুকু দেখা গিয়েছে তাতে ছেলেটি নিজে সাইকেল রেখে চলে যায়। তার সঙ্গে কোনও বন্ধু ছিল না। পুলিশের তরফে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হচ্ছে।
পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, আর্ভর বাবা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বেসরকারি সংস্থার কাজ করেন। শনিবার অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মা বিকালে পাশের পাড়াতেই পিসির বাড়িতে যান। বিকাল পাঁচটা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হন। আর্ভর মায়ের বয়ান অনুযায়ী, বেরনোর সময়ে তিনি ছেলেকেও তাঁর সঙ্গে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু আর্ভ যেতে চায়নি। টিভিতে কার্টুন দেখতে বলেছিল সে। তারপর ৬ টা থেকে তার অনলাইন ক্লাস ছিল। বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটেও ফোনে ছেলের সঙ্গে কথা বলেন আর্ভর মা। শেষবার ফোন করেন ৫.৫৫ মিনিটে। অনলাইন ক্লাসের লিঙ্ক সে পেয়েছে কিনা, তা জানার জন্য ছেলেকে ফোন করেন। মায়ের দাবি, ফোন বেজে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। আর্ভর বাবাও তখন ঘরে ঢোকেন। তাঁরা দেখতে পান,আর্ভর সাইকেল নেই। এরপর থানায় যোগাযোগ করেন।
বাড়ি থেকে মিনিট পনেরো দূরে মেট্রো স্টেশন। মেট্রো স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আর্ভর বাবা। রবিবার সকালে মাস্টার দা সূর্যসেন মেট্রো স্টেশনের বাইরে লক করা অবস্থায় তার সাইকেল দেখতে পান আর্ভর বাবা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানতে পারেন, কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে দমদমগামী মেট্রোয় ওঠে আর্ভ। সেটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লেও, আর্ভকে কোন মেট্রো স্টেশনে নামতে দেখা যাচ্ছে না। এখানেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মেট্রো স্টেশনেই রয়েছে তার বাবা-মা। আর্ভর বন্ধুর মা বলেন, “পড়াশোনায় ভাল ছিল আর্ভ। খুব বেশি বন্ধু ছিল না। বাড়ির সামনেই সাইকেল চালাত।” কিন্তু কেন সে এমন করল, তা নিয়েই সন্ধিহান পরিবারের সদস্যরা। পুলিশও এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।