AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Parole: ছুটির মেয়াদ বাড়ল ‘মুক্ত’ বন্দিদের, প্রকাশিত হল নয়া প্যারোল বিধি

Parole: এতদিন পর্যন্ত এ রাজ্যে প্যারোলের নিয়মকানুন প্রশ্নমুক্ত ছিল না। কারণ, সাজাপ্রাপ্ত সব বন্দির জন্যই ৩০ দিনের প্যারোলের কথা বলা ছিল কারা দফতরের আইনে।

Parole: ছুটির মেয়াদ বাড়ল 'মুক্ত' বন্দিদের, প্রকাশিত হল নয়া প্যারোল বিধি
নয়া প্যারোল বিধি চালু হল রাজ্যে। প্রতীকী চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Nov 23, 2021 | 9:51 PM
Share

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ: সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা পাঁচিল ঘেরা জীবন থেকে কিছুদিনের জন্য মুক্তি পান। যার পোশাকি নাম প্যারোল (Parole)। সংস্কারের হাত ধরে জেল হয়েছে ‘সংশোধনাগার’। তেমনই প্যারোল (Parole) ব্যবস্থার সংস্কার হবে না কেন, সেই প্রশ্ন বহুদিন ধরে করে এসেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। বহু আলাপ-আলোচনার পর অবশেষে এ রাজ্যে বদলে গেল প্যারোল-বিধি। তাতে প্যারোল নিয়ে চলা টানাপোড়েন মিটবে কি? কারা দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা অবশ্য আশাবাদী।

নানা আলাপ-আলোচনার পরে অবশেষে রাজ্যে চালু হল নয়া প্যারোল বিধি। মঙ্গলবার প্রকাশিত হল ‘প্যারোল রুলস গেজেট ২০২১’ । আর তার ফলে জেলের কুঠুরির অন্দরে দিন গুজরান করা মানুষরাও এবার বৈষম্যমুক্ত প্যারোল পাবেন বলে আশাবাদী কারাকর্তা থেকে আধিকারিকরা।

এতদিন পর্যন্ত এ রাজ্যে প্যারোলের নিয়মকানুন প্রশ্নমুক্ত ছিল না। কারণ, সাজাপ্রাপ্ত সব বন্দির জন্যই ৩০ দিনের প্যারোলের কথা বলা ছিল কারা দফতরের আইনে। যাঁর সাজা ২ বছর, তাঁর ক্ষেত্রেও ৩০ দিনের প্যারোল, আবার যিনি যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে জেলের কুঠুরিতে ঢুকেছেন, তাঁর প্যারোলে মুক্তির মেয়াদও ছিল সেই ৩০ দিনেরই। তাই এ নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কারণ, অন্যান্য রাজ্যে আবার সাজার উপরে নির্ভর করে প্যারোল স্থির হয়। পশ্চিমবঙ্গে এতদিন সেটা ছিল না। মঙ্গলবার থেকে এ রাজ্যেও বদল এল প্যারোল বিধিতে। এই নতুন প্যারোল বিধি তৈরিতে ভিন্ন রাজ্যের নিয়মকানুনও গুরুত্ব পেয়েছে বলে খবর।

কী রয়েছে নয়া প্যারোল রুলস গেজেটে?

মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘প্যারোল রুলস গেজেট ২০২১’ -এ স্থির হয়েছে, যে বন্দির সাজা ২ বছর হবে, একবছর সংশোধনাগারে কাটানোর পরে সংশ্লিষ্ট বন্দি ১৫ দিনের প্যারোলে মুক্তি পেতে পারেন। আর যে বন্দির সাজা ২ থেকে ৫ বছর হবে, তাঁর ক্ষেত্রে বছরে সর্বোচ্চ ২১ দিন প্যারোল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের কারা দফতর। ৫ থেকে ১৪ বছর জেলের সাজা পাওয়া বন্দিদের ক্ষেত্রে প্যারোলের মেয়াদ ৩০ দিনের। আর রাজ্যে যাবজ্জীবন বন্দির ক্ষেত্রে প্যারোলের মেয়াদ হয়েছে ৪০ দিন।

তবে প্যারোল পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হল পুলিশের রিপোর্ট। সংশ্লিষ্ট বন্দি প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তাঁর এলাকায় ফিরলে সেখানকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে কিনা, অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টির আশঙ্কা আছে কি না, এমনকি বন্দির উপর হামলা হতে পারে কি না- এইসব বিষয় উঠে আসে পুলিশের রিপোর্টে। তাছাড়া সংশোধনাগারের অন্দরে সংশ্লিষ্ট বন্দির আচার-আচরণও বিচার্য। তবে ইউএপিএ বা কারেন্সি সংক্রান্ত মামলায় সাজা পাওয়া বন্দিদের প্যারোলে মুক্রির ক্ষেত্রে সেই সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। শুধু দণ্ডিত বন্দিদের জন্য প্যারোল বিধি থাকে কারা দফতরের। আর বিচারাধীনদের প্যারোলের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে আদালত।এখন রাজ্যের এই প্যারোল বিধির মাধ্যমে নয়া সংস্কারের পথে তারা হাঁটল বলে দাবি কারা দফতরের।

আরও পড়ুন: Swastha Sathi Card: ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্তকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটছে অ্যাম্বুল্যান্স, পথেই হয়ে গেল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড