এক্সক্লুসিভ: ‘বিজেমূল’ বলল কারা? জানেন না বিমান বসু
বস্তুত তিনি নিজেই ঘুরপথে স্বীকার করে নেন যে, বিধানসভা ভোটের প্রচারে দল যে পথ ধরে হেঁটেছিল, সেটা কাজে দেয়নি ঠিকই, বরং হিতে বিপরীত হয়েছে।
কলকাতা: নির্বাচনী ব্যর্থতার পরই ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব থেকে সরে এসেছিল সিপিএম। ভোটের মাসতিনেক পর আবার জাতীয় স্তরে তৃণমূলের হাত ধরার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছিলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে এদিন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বুঝিয়ে দিলেন, পরবর্তী সময় বিজেপি ও তৃণমূলকে একাসনে বসানোর থেকে দূরে থাকবে বাম শিবির। বিতর্ক থাকলেও সংযুক্ত মোর্চা ভাঙার কোনও চিন্তা-ভাবনা এখনও করা হয়নি বলেই তিনি জানান। একইসঙ্গে জোটের ভবিষৎ এবং কর্মপন্থা নির্ধারণের ক্ষেত্রে শরিকসঙ্গী কংগ্রেসের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছেন বিমান।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বামেদের প্রচারের প্রধান অস্ত্র ছিল এই বিজেমূল তত্ত্ব। কিন্তু বিমানের কথা অনুযায়ী, “আমরা কখনই এভাবে ব্যাখ্যা করিনি।” TV9 বাংলাকে এই প্রসঙ্গে বিমান জানান, “বিজেমূল কথাটা করা বলল আমরা জানি না। আমরা নিজেদের কথায় কখনই এরকম ব্যাখ্যা করিনি। এরকম অনেক কিছুই হয়েছে যা মানুষ গ্রহণ করেনি। মানুষকে যা বিরক্ত করেছে।” বস্তুত তিনি নিজেই ঘুরপথে স্বীকার করে নেন যে, বিধানসভা ভোটের প্রচারে দল যে পথ ধরে হেঁটেছিল, সেটা কাজে দেয়নি ঠিকই, বরং হিতে বিপরীত হয়েছে।
অন্যদিকে, বিগত কয়েকদিন যাবত নাগাড়ে আলোচনায় বসতে চাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবশেষে আলিমুদ্দিনে আইএসএফ-র সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন বাম নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, আসন্ন উপনির্বাচন ও পুরভোট নিয়ে দুই পক্ষের কথা হতে পারে। একই সঙ্গে যৌথ কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোটে সংযুক্ত মোর্চার ভরাডুবির কারণে বাম শরিকরা যেভাবে লাগাতার আব্বাস সিদ্দিকির দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আজকের বৈঠক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, সেটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। বিমান বসু যদিও শরিকি বিবাদ নিয়ে এখনই মাথা ঘামাতে চান না। কংগ্রেস ও আইএসএফ-র একে অপরকে কী বলেছে, তা নিয়ে পরে আলোচনা হবে বলে জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। আপাতত আগামী নির্বাচনের উপরই মনোনিবেশ করতে চাইছে মোর্চা। যদিও আইএসএফ চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি একটা হেস্তনেস্ত করার মেজাজ রয়েছে বলে জানাচ্ছে সূত্র। আরও পড়ুন: মুখ ফিরিয়েছে মেয়ে, প্লাস্টিকে মুড়ে রাস্তায় ফেলে দেয় বৃদ্ধাকে, অবর্ণনীয় মৃত্যুর সাক্ষী থাকল শহর