Mamata Banerjee: ‘করে দেখিয়েছেন মমতা, তাই মানুষও স্বীকৃতি দিয়েছে’, দিলীপের মুখে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশংসা!

Dilip Ghosh: গত কয়েক বছরে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব থাকা দিলীপ ঘোষের মুখেই শোনা গিয়েছে মমতার ব্যাপারে প্রশংসা।

Mamata Banerjee: ‘করে দেখিয়েছেন মমতা, তাই মানুষও স্বীকৃতি দিয়েছে’, দিলীপের মুখে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশংসা!
দিলীপ ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 4:17 PM

কলকাতা: দিলীপের মুখে মমতার প্রশস্তি! এ যেন খানিকটা ভূতের মুখে রাম রাম। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন এত মানুষ রয়েছেন, তাঁর ইতিবাচক ব্যাখ্যা দিতে শোনা গেল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। বুধবার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ মুখোমুখি হয়েছিলেন টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যের। রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ অবাঞ্ছিত হয়ে গিয়েছেন- এই প্রসঙ্গও উঠেছিল। সেই প্রশ্নের জবাব নিজের ভঙ্গিতেই দিয়েছেন তিনি। তা দিতে গিয়েই তাঁর মুখে উঠেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। গত কয়েক বছরে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব থাকা দিলীপ ঘোষের মুখেই শোনা গিয়েছে মমতার ব্যাপারে প্রশংসা।

রাজ্য সভাপতির পদ যাওয়ার পর থেকে রাজ্য বিজেপির অনেক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। এ রাজ্যে কী তাঁর গুরুত্ব কমেছে? বঙ্গ বিজেপি-তে দিলীপ অবাঞ্ছিত হয়ে গিয়েছেন? এই প্রশ্ন করা হলে তার জবাব কড়া ভাষাতেই দিয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেছেন, “কে অবাঞ্ছিত মনে করছে জানি না। বিজেপি যদি কিছু থাকে, সেটা তো আমার সময়েই হয়েছে।” এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আমি যাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সেই মমতা ব্যানার্জিকে অনেকে অবাঞ্চিত মনে করেছিল। যে মানুষের সঙ্গে আছে, সে মানুষের কথা বলবে, সে রাজনীতিতে থাকবে। অনেক কিছু অনেকে করেছেন, তাঁরা হারিয়ে গিয়েছেন। মমতা ব্যানার্জি কিন্তু আছেন।” তাঁর আরও ব্যাখ্যা, “আমি তাঁর বিরোধিতা করি, কাজের সমালোচনা করি কিন্তু তিনি আছেন। বিরোধীরা তাঁর সমালোচনা করলেও তিনি করে দেখিয়েছেন। মানুষ তাঁকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এটা হচ্ছে রাজনীতি। সাময়িক বিভিন্ন মতানৈক্য হতে পারে, অস্বস্তি হতে পারে, অশান্তি হতে পারে। কিন্তু দিনের শেষে এটাই শেষ কথা যেটা পাবলিক বলবে।”

সম্প্রতি, দিলীপ ঘোষের বিজেপিতে অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর বিস্ফোরক দাবি ছিল, নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলে আসতে চেয়েছিলেন। যদি এধরনের দাবি নস্যাৎ করেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তৃণমূলে দিলীপের আসা নিয়ে বিতর্ক জিয়ে রেখেছেন সৌগত রায়। এরপরও তৃণমূল সাংসদ বলেছিলেন, দিলীপ যদি বিজেপি ছেড়ে দেয়, তাহলে তাঁকে নিয়ে ভাবতে পারেন তাঁরা। এরপর খোদ দিলীপের মুখে মমতার প্রশংসায় জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

বঙ্গ বিজেপির বিভিন্ন বৈঠকে নিজের অনুপস্থিতি নিয়েও টিভি৯ বাংলার কাছে মুখ খুলেছেন দিলীপ। তিনি বলেছেন, “বৈঠকে ডাকা হয় না, এ কথা ঠিক না। বিজেপি অনেক বড় দল। বিভিন্ন রকম বৈঠক প্রতিনিয়ত চলতেই থাকে। দিল্লি থেকে নেতারা এলেন, নীতি নির্ধারণের বৈঠক হয়, তখন আমাকে ডাকা হয়। আমারও নিজের বেশ কিছু কাজ থাকে। তাই বৈঠকে ডাকা হয় না, এ কথা ঠিক নয়।”