Liquor Price: ‘সরকার মদের দাম কমিয়েছে, খাও পিও জিও’! কটাক্ষ দিলীপের

TMC: অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বিক্রি কমে যাওয়াতে রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। অর্থনীতির কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত, দাবি তৃণমূলের।

Liquor Price: 'সরকার মদের দাম কমিয়েছে, খাও পিও জিও'! কটাক্ষ দিলীপের
তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 11:08 PM

কলকাতা: মদের দাম কমানো গিয়ে জোর তরজা বিজেপি ( BJP) ও তৃণমূলের (Trinamool) মধ্যে। বিজেপির বক্তব্য মদের দাম কমিয়ে রাজ্য সরকার যুব সমাজকে অধঃপতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্যদিকে তৃণমূলের বক্তব্য সবকিছুতেই ছিদ্র খোঁজা বিজেপির কাজ। এদিনই বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, এ সরকার চাকরি দিতে পারে না, খালি ‘খাও পিও জিও’। অন্যদিকে বিজেপির মুখপাত্র সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এ রাজ্যের সরকার নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবি করে। কিন্তু পেট্রোপণ্যের ভ্যাটে লাভের হার কমাতে রাজি নয় তারা। বরং মদের দাম কমিয়ে মানুষের পকেট যাতে আরও কাটা যায় সেদিকেই লক্ষ্য।

দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “এটা কোনও সুস্থ সমাজের লক্ষণ? সিগারেট, মদের ট্যাক্স সবসময় বাড়ানো হয় যাতে মানুষ কম খায়। অথচ এই সরকার যাদের চাকরি দিতে পারছে না বোতল দিয়ে দিচ্ছে। খাও পিও জিও।”

অন্যদিকে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “এই বাংলায় নাকি অন্যতম প্রগতিশীল সরকার। রাজ্য সরকার ৪৯টি ব্র্যান্ডের বাংলা মদ ৩০০ মিলিমিটার ২৩-৩০ টাকা দামে বাজারে আনছে। ২০২২ মার্চ মাস পর্যন্ত তার জন্য অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। জঙ্গলমহলের মহুয়ার গন্ধ তাতে দেওয়া হচ্ছে। ২৮ টাকায় মিলবে। করোনার সঙ্গে মিলিয়ে ফার্স্ট ডোজ় রাখা হয়েছে নাম। বাজিকর, গ্লোবাস মহুয়া, ঝুমুর, বুলবুল আসছে। আর এই মদ দিয়েই বাংলার প্রগতিশীল সরকার তো মানুষের পকেট কাটবে।”

যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “মদের দাম কেন কমানো হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ, কী যৌক্তিকতা রাজ্য সরকারের তরফে তা জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বিক্রি কমে যাওয়াতে রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে। অর্থনৈতিক কারণে একটা সুচিন্তিত অভিমত বিশেষজ্ঞরা দিয়েছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন বা সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সম্পূর্ণ আর্থিক বিষয়। এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজতে যাওয়াটা আসলে সব কিছুতেই ছিদ্র খুঁজে বেড়ানোর মানসিকতার পরিচয়বাহী। ছিদ্রান্বেষীরা সে কাজই করছে। আর তো কিছু করারও নেই। হেরে তো ভূত হয়ে গিয়েছে।”

অন্যদিকে এই মদের দাম কমানো প্রসঙ্গে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্তের মন্তব্য, “সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকলে তো একটা রাজ্য চলতে পারে না। মদের থেকে তো একটা আয় হয়। পরিসংখ্যানগত ভাবে বলছি। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ১২ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। মদের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সেখানে ৫ হাজার ৪৭০ কোটি টাকার মতো কালেকশন হয়েছে। এই অর্থবর্ষের শেষে অর্থাৎ ২০২২’র মার্চের মধ্যে এই মদ বিক্রি করে সরকারের আয় হয়তো আরও কমতে পারে।”

আরও পড়ুন: জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র পেতে ভোগান্তির দিন শেষ! বড় ঘোষণা কলকাতা পুরসভার