Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari on CPIM: ‘সেই রাতেই নির্দেশ এসেছিল সিপিএম পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও’, স্মৃতি রোমন্থন শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari on CPIM: ভোটের ফল প্রকাশের পর উল্টোডাঙা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসনে অটো দৌরাত্ম্যের অভিযোগ ওঠে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ক্ষমা চান। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এই কালচার আগে থেকেই ছিল। আমি ওনার প্রচারক ছিলাম।"

Suvendu Adhikari on CPIM: 'সেই রাতেই নির্দেশ এসেছিল সিপিএম পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও', স্মৃতি রোমন্থন শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী, বিধানসভার বিরোধী দলনেতাImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Jun 13, 2024 | 6:37 PM

কলকাতা: সালটা ২০১১। সদ্য ক্ষমতা থেকে তখন হটেছে বামেরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে সিপিএম-এর বিভিন্ন পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হচ্ছে। কার্যত পালিয়ে প্রাণ বাঁচাতে হচ্ছে বাম কর্মীদের। কলকাতা হোক বা জেলা, কার্যত একই অভিযোগ উঠছিল সব জায়গা থেকে। পার্টি অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি দলীয় সমস্ত সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে। এবার সেই নিয়েই মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, “২০১৩ সালে সিপিএম-এর প্রায় সাড়ে তিন হাজার পার্টি অফিস গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে।”

কেন এই মন্তব্য শুভেন্দুর?

ভোটের ফল প্রকাশের পর উল্টোডাঙা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসনে অটো দৌরাত্ম্যের অভিযোগ ওঠে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ক্ষমা চান। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই কালচার আগে থেকেই ছিল। আমি ওনার প্রচারক ছিলাম। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণে বসতেন। পরিষ্কার বলতে শুনেছিলাম একটা বড় অংশের মানুষ বামেদের ভোট দিয়েছেন। তাঁদের আমাদের পক্ষে আনতে হবে। তাই যেটা বলেছি বদলা নয় বদল চাই করতে হবে। করতে হবে।”

এরপর শুভেন্দু বললেন, “কিন্তু২০১৩ সালে আমি নিজে দেখেছিলাম বিজ্ঞান ভবনে অর্থ কমিশনের সভার গেটে ভাই ঋতব্রতর নেতৃত্বে হামলা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উপরে, অমিত মিত্র উপরে, সুব্রত বক্সীর উপরে। সেই রাতেই নির্দেশ এসেছিল সমস্ত সিপিএম-এর পার্টি অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও। এরপর এক রাতে সাড়ে তিনহাজার পার্টি অফিস ভাঙা হয়েছিল। সেই সময় থেকে সমানে এই কালচার চলছে। বিরোধীদের জব্দ করো হেনস্থা করো। যত রকম পারো করো।” এ প্রসঙ্গে সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “এটা বিরোধী দলনেতার স্বীকারোক্তি। এভাবেই আমাদের রাজ্যের রাজনীতিতে পট পরিবর্তন হয়েছে। দিল্লিতে একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতারাতি আমাদের পার্টি অফিসগুলিকে লুট করা হয়েছিল। যার নির্দেশে এই কাজ হয়েছিল তিনি এখনও তৃণমূলের নেতা। যিনি এই কাজ করেছিলেন এখন বিজেপির নেতা। এই রাজনীতি বেশি দিন স্থায়ী হবে না।”