Body Recovery: গঙ্গার ঘাটে দেহ উদ্ধারে ঘনাচ্ছে রহস্য, খুনের কিনারা করতে গিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
Kolkata Dead Body Recovery: ওই ব্যক্তির মাথায় ও হাঁটুতে আঘাত রয়েছে। সেই থেকেই পুলিশের অনুমান তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। সেই সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ।
কলকাতা: গঙ্গার ঘাট থেকে শুক্রবার এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার (Body Recovery) ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গতকাল দুপুরে নর্থ পোর্ট থানা (North Port Police Station) এলাকার নাথের বাগান ঘাটে এক মাঝবয়সি ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গতকালই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতের পকেটে তাঁর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল। এছাড়া আরও কিছু কাগজপত্রও পাওয়া গিয়েছে। সেসব থেকে জানা যায়, মৃতের নাম রূপকুমার সাহা। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ওই ব্যক্তির শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই ব্যক্তির মাথায় ও হাঁটুতে আঘাত রয়েছে। সেই থেকেই পুলিশের অনুমান তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। সেই সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে ওই ব্যক্তিকে। তবে কী কারণে এই খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং উদ্ধার হওয়া অন্যান্য নথিপত্র থেকে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তির বাড়ি বরাহনগরে। লেকটাউন চত্বরে এক রিয়েল এস্টেট সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর গতকাল তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কী কারণে ওই ব্যক্তি খুন হলেন, সেই উত্তর খুঁজতে ইতিমধ্য়েই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে পুলিশ। ব্যবসায়িক কোনও কারণ? আর্থিক লেনদেনের ঝামেলা? নাকি পারিবারিক কোনও বিবাদ? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও সমস্যা? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।