Bratya Basu: ‘চাকরিপ্রার্থীদের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকার’, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে চাকরিপ্রার্থীরা বললেন, ‘আগে ফল পাই’
Bratya Basu: তবে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে কতটা চিঁড়ে ভিজল? কী বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা? ৯০০ দিন ধরে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে বসে রয়েছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা।
কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে চলছে ওঁদের আন্দোলন। এখনও রাজপথে ওঁরা। এবার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “আইনি প্রক্রিয়ার জট ছাড়ার মুখে। চাকরিপ্রার্থীদের পাশে সরকার রয়েছে।” রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বৃহস্পতিবারই সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র না পেলে প্য়ানেল প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়িই এই জটিলতা কেটে যাবে বলে জানান তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির বক্তব্যে সমর্থন জানান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও।
তবে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে কতটা চিঁড়ে ভিজল? কী বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা? ৯০০ দিন ধরে গান্ধী মূর্তি পাদদেশে বসে রয়েছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “২০১৬ এসএলএসটি উত্তীর্ণ নাইন থেকে টুয়েলভ যোগ্য পাশ করা মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থী। আমরা বহু বছর ধরে শুনে আসছি, চাকরিটা পাব। আমরা বঞ্চিত। আইনি জটিলতা কাটলেই আমরা নাকি চাকরি পাব। এটা বছরের পর বছর চলছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? ২০১৬-২০২৩ সাল হয়ে গেল… এখনও কি আমাদের ওপর কোনও দয়া হচ্ছে না?”
আরেক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “আমাদের আন্দোলনে কেন নামতে হল? এটাই তো বড় কথা। আমরা হকের চাকরিটা চাইছি। ২০১৯ সালে বলেছেন দেবেন, ২০২২, ২০২৩ সাল এতদিন ধরে চলছে। আমরা তো ঘর পোড়া গরু। আমাদের শুধু আশ্বাসে আর কিছুই হচ্ছে না। আমরা এবার হাতেনাতে ফলটা চাইছি।”
পর্ষদ সভাপতি, শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে যে খুব একটা বেশি আশ্বস্ত হতে পারছেন না চাকরিপ্রার্থীরা, তা স্পষ্ট বলে দিলেন তাঁরা। এবার দেখার কবে কাটে আইনি জটিলতা? কবে হাতে চাকরির নিয়োগপত্র পান তাঁরা।