বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে ধাক্কা রাজ্যের, জবাব চাইল আদালত

কীভাবে নিয়োগ করা হল, যে প্যানেল বেরিয়েছে তা কী অবস্থায় রয়েছে, মেধাতালিকায় স্বচ্ছতা না থাকলে নিয়োগই বা কীভাবে, এই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব বিচারপতির

বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে ধাক্কা রাজ্যের, জবাব চাইল আদালত
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Feb 10, 2021 | 4:28 PM

কলকাতা: বন সহায়ক পদে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তে সায় দিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় আজ, ১০ ফেব্রুয়ারি বন সহায়ক পদে নিয়োগ নিয়ে আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (WB Govt)। নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে এনে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

গত বছর নভেম্বরে বন সহায়ক পদে ২০০০ জনের নিয়োগ হয়। কীভাবে সেই নিয়োগ করা হল, যে প্যানেল বেরিয়েছে তা কী অবস্থায় রয়েছে, মেধাতালিকায় স্বচ্ছতা না থাকলে নিয়োগই বা কীভাবে, এই বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামী ৪ মার্চের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে দাবি তুলে হাইকোর্ট মামলা করেছিলেন মালদার কৌশিক ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই এ দিন রাজ্যকে এই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, নিয়োগ মামলায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই স্যাটে মামলা করেছেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

২০২০ সালের অগস্ট মাসে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণদের বন-সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। যেখানে শূন্যপদ ছিল প্রায় দু’হাজার। মাত্র দু’হাজার পদের জন্য দু’লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু প্যানেল প্রকাশ হয়নি। গত কয়েকদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৌখিক তরজার ফলেই জানা যায়, বন-সহায়ক পদে নিয়োগ হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বন সহায়ক পদে নিয়োগে ‘কারসাজি’! তদন্তে সায় মমতার মন্ত্রিসভার

এর পরই নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে স্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সজল দে নামক এক আবেদনকারী। তাঁর আইনজীবী আশীষ চক্রবর্তী এই নিয়ে স্যাটের নিকট জানতে চেয়েছিলেন, “প্যানেল ছাড়া নিয়োগ হল কীভাবে?” এবার ঘুরিয়ে কার্যত সেই প্রশ্নের জবাব তলব করেছে হাইকোর্টও।

সপ্তাহখানেক আগে আলিপুরদুয়ারের এক জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বন সহায়ক পদে নিয়োগে ‘কারসাজির’ অভিযোগ তুলেছিলেন। নাম না করলেও তাঁর নিশানায় ছিলেন মন্ত্রক ত্যাগী রাজীব। যার পাল্টা দিতে দেরি করেননি ডোমজুড়ের বিধায়ক। তিনিও গুড়াপের সভা থেকে বলেন, “আমি মুখ খুললে বটগাছ নড়ে যাবে। সমুদ্র উথালপাথাল হয়ে যাবে।”

আরও পড়ুন: বন সহায়ক পদে প্যানেল ছাড়াই নিয়োগ কীভাবে? প্রশ্ন তুলে স্যাটে মামলা