Calcutta High Court: ‘বাড়ি ভেঙে পড়লে আপনাকে কে বাঁচাবে?’, ভরা এজলাসেই ভর্ৎসনা বিচারপতির
Calcutta High Court: রাজ্যের তরফ অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "গতকাল বলা হয়েছে পুরসভাকে নাকি পুলিশ সহযোগিতা করছে না। এই বাড়ি সম্পূর্ণ ফাঁকা। ৪ জানুয়ারি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফাঁকা করার কোনও নির্দেশ ছিল না। ৬ জানুয়ারি পুরসভা বাড়ি ভাঙতেও শুরু করে। কেউ ওই বাড়িতে থাকে না। সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেছে পুরসভা।"
কলকাতা: গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর থেকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে আরও কড়া কলকাতা হাইকোর্ট। একাধিক বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এবার নারকেলডাঙার একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিলেন তিনি। শনিবার থেকে কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন। বাড়ি ভাঙার মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের কাছে আসা ব্যক্তিকে জাস্টিস সিনহা প্রশ্ন করেন, “এই নির্মাণ যদি কোনও দিন আপনার উপরেই ভেঙে কী হবে তখন?”
প্রসঙ্গত, নারকেল ডাঙায় থানা এলাকায় ৩ডি/এইচ/ ৭ এম এন চ্যাটার্জি সরণিতে একটি ছ’তলা বিল্ডিং তৈরি হয়েছিল। কোনও অনুমতি ছাড়াই আস্ত ভবনটি গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। এমনকী ওই নির্মাণে বসতিও গড়ে ওঠে। এরপরই বিষয়টির জল গড়ায় আদালতে। বিচারপতি সিনহা বেআইনি সেই ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু তারপরও নির্মাণটি ভাঙা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয় নারকেল ডাঙা থানার ওসিকে। সশরীরে আদালতে আসার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাজিরাও দেন ওসি।
রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল বলা হয়েছে পুরসভাকে নাকি পুলিশ সহযোগিতা করছে না। এই বাড়ি সম্পূর্ণ ফাঁকা। ৪ জানুয়ারি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফাঁকা করার কোনও নির্দেশ ছিল না। ৬ জানুয়ারি পুরসভা বাড়ি ভাঙতেও শুরু করে। কেউ ওই বাড়িতে থাকে না। সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেছে পুরসভা।”
অপরদিকে, ওই বাড়ির একতলার বাসিন্দা আদালতে বলেন, “নির্মানের গ্রাউন্ড ফ্লোর নিয়ম মেনেই হয়েছে। তাই স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।” পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেন,”বাড়ি ভেঙে পড়লে আপনাকে কে বাঁচাবে? পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছেন আগামীকাল ফের ভাঙা হবে। পুলিশের উপিস্থিতিতে হবে।”