WITT 2025: যোগী আদিত্যনাথ নাকি সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, কার মতকে বেশি গুরুত্ব দেন চিরাগ পাসোয়ান?
WITT 2025: এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান। বিহারের রাজনীতিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ নাম চিরাগ। সম্মেলনে যোগ দিয়েই বিহারের কথা তুলে ধরেন তিনি।

চলছে দেশের সবচেয়ে বড় নিউজ নেটওয়ার্ক টিভি৯ নেটওয়ার্ক আয়োজিত মেগা কনফারেন্স ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে'(WITT 2025)। গতকাল ২৮ তারিখ ছিল এই সম্মেলনের প্রথম দিন। উদ্বোধনের দিন ভারত মণ্ডপমে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ তার দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে নিজেরদের বক্তব্য রেখেছেন ভূপেন্দ্র যাদব, পীযূষ গোয়েল, জি কিষাণ রেড্ডির মতো ব্যক্তিত্বরা। তেমনই এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসোয়ান। বিহারের রাজনীতিতেও এক গুরুত্বপূর্ণ নাম চিরাগ। সম্মেলনে যোগ দিয়েই বিহারের কথা তুলে ধরেন তিনি।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোটের নিরঙ্কুশ জয়ের কথাও তুলে ধরেন চিরাগ পাসোয়ান। তিনি বলেন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২২৫টি পেতে চলেছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়া টুকরো হিংসার বিষয়ে বলেছিলেন প্রতিটি মসজিদে শিব মন্দির খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত নয়। আবার অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন যে যেখানেই প্রতীক পাওয়া যাবে, সেখানেই খনন করা হবে। যা স্পষ্টতই একে অপরের বিপরীত ধর্মী মন্তব্য। টিভি৯ নেটওয়ার্কের মঞ্চে এই প্রশ্ন তোলা হয়। চিরাগ পাসওয়ানকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কোন মতকে সমর্থন করেন? যার উত্তর খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন চিরাগ। তিনি বলেন, মানুষ কেবল জাতপাত এবং ধর্ম নিয়ে কথা বলে, এটা আমার কাছে কষ্টের।
যোগী বা সঙ্ঘ প্রধানের বক্তব্য বেছে নেওয়ার বিষয়ে চিরাগ বলেন, আমি সংঘ প্রধানের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। ইতিহাসের পাতায় খনন করার কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা সমাজবাদী পার্টির সাংসদদেরও একই রকম প্রচেষ্টা করতে দেখেছি। আমাদের জোটের লোকেরাও এটা করে। আমরা যদি ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই, তাহলে আমাদের বর্তমানের দিকে তাকাতে হবে।
আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে তাকাতে চাই যিনি ২০৪৭ সালে ভারতকে উন্নত করার যাত্রায় রয়েছেন। চিরাগ পাসওয়ান বলেন, “নির্বাচন এলে বিহারে মানুষ জাতপাত এবং ধর্ম নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। আমি বিহার ফার্স্ট এবং বিহারি ফার্স্টের কথা বলি। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছি। আমি কতটা সফল হব জানি না।”





