Calcutta High Court: জলপাইগুড়ির সমাজসেবী দম্পতির আত্মহত্যায় পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট, সিট গঠনের ইঙ্গিত বিচারপতি মান্থার

Calcutta High Court: গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাজসেবী অপর্ণা ভট্টাচার্য কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এই সমাজসেবী দম্পতি সম্পর্কে ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই ও ভ্রাতৃবধূ।

Calcutta High Court: জলপাইগুড়ির সমাজসেবী দম্পতির আত্মহত্যায় পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট, সিট গঠনের ইঙ্গিত বিচারপতি মান্থার
কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 17, 2023 | 8:37 PM

কলকাতা: কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন জলপাইগুড়ির এক সমাজসেবী দম্পতি (Jalpaiguri Suicide Case)। সেই ঘটনায় পুলিশের তদন্তে মোটেই সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জলপাইগুড়ির ওই সমাজসেবী দম্পতির আত্মহত্যার ঘটনায় এবার গঠিত হতে পারে সিট। এমনই ইঙ্গিত দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়া রোড এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাজসেবী অপর্ণা ভট্টাচার্য কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এই সমাজসেবী দম্পতি সম্পর্কে ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই ও ভ্রাতৃবধূ। ওই ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশ ওই ঘটনায় দুইজনকেই গ্রেফতার করেছে।

ওই মামলার শুনানিতে এদিন পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘২ এপ্রিল ঘটনায় এফআইআর করা হয়েছিল। অথচ ২৯ এপ্রিল অভিযুক্তদের নোটিস পাঠানো হল কেন? ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার কি চিঠি নিয়ে সন্দেহে ছিলেন? এটা তদন্তের সময়, কিছু প্রমাণের নয়। তদন্ত করে চিঠির হাতে লেখা ভিন্ন বলতে পারতেন। আদালত একেবারেই সন্তুষ্ট নয় আপনাদের তদন্তে।’ বিচারপতি মান্থা আরও মন্তব্য করেন, ‘গ্রেফতার না হলেও অন্তত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। তদন্তকারী অফিসারকে কি ভয় দেখানো হয়েছে?’

পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়া অসন্তুষ্ট বিচারপতি এও বলেন, ‘তদন্তের শুরুতেই এই মামলার তদন্তভার অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দিলে ভুল হবে না।’ তিনি বলেন, যদি কোনও সন্দেহ নাও থাকে, তাও উচ্চপদস্থ অফিসাররা যুক্ত থাকলে সিবিআই হতে পারে। জনগণের আত্মবিশ্বাসের জন্য সিবিআই হতে পারে।’ তবে রাজ্যের তরফে সিবিআই না দেওয়ার আবেদন জানানো হয় এবং বলা হয়, রাজ্যের থেকে একটি তদন্তকারী দল গঠন করে ঘটনার তদন্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত কোনও অফিসারকে টিমে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় আদালত থেকে এবং কারা কারা তদন্তকারী টিমে থাকবেন, তা আগামী শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যকে আদালতে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।