Sheikh Shahjahan: ‘শাহজাহানকে নিয়ে লুকোচুরি খেলেছে পুলিশ’, জানিয়ে দিল হাইকোর্টও
Sandeshkhali Case: পুলিশকে অতি উৎসাহী বলে উল্লেখ করেছে আদালত। রাজ্য পুলিশের তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট বলেও উল্লেখ করেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, "যিনি ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন, তাঁকে রক্ষা করার জন্য, তদন্তকে বিলম্বিত করার সবরকম চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ।"
কলকাতা: গত ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের বাড়ির সামনে গিয়ে মার খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। কার্যত এলাকা ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। ৫৫ দিন পর পুলিশের জালে আসেন সেই শাহজাহান। এই ৫৫ দিন ধরে অভিযুক্ত কোথায় ছিলেন? সেই প্রশ্নে বিরোধীরা পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন। এবার সেই পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলছে আদালত। সন্দেশখালি-মামলায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছে, তার পর্যবেক্ষণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এদিন দুপুরে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে শেখ শাহজাহানকে।
হাইকোর্টের নির্দেশনামায় ৫ জানুয়ারির ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তে স্থগিতাদেশ থাকা সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশ তাদের কাছে দায়ের হওয়া মামলা সিআইডি-কে হস্তান্তর করেছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “রাজ্য পুলিশ এই মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে অতি উৎসাহী। কেন তারা অতি উৎসাহী তার কারণ তারাই ভাল বলতে পারবে।”
রাজ্য পুলিশের তদন্ত পক্ষপাতদুষ্ট বলেও উল্লেখ করেছে হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “যিনি ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে পলাতক ছিলেন, তাঁকে রক্ষা করার জন্য, তদন্তকে বিলম্বিত করার সবরকম চেষ্টা করছে রাজ্য পুলিশ। শেখ শাহজাহানকে আড়াল করার জন্য তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশ লুকোচুরি খেলেছে।”
শেখ শাহজাহানকে প্রভাবশালী বলে আগেও উল্লেখ করেছে আদালত। এদিন হাইকোর্টের নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত প্রভাবশালী এই ব্যক্তির তদন্তভার রাজ্য পুলিশের ওপর ছাড়লে তাকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা পুলিশের আছে।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলছে, আমাদের বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ধাক্কা খেয়েছে। তাই এটা সিবিআই-কে হস্তান্তর করার জন্য আদর্শ মামলা। আদালতের আরও প্রশ্ন, মামলায় ভুক্তভোগী বা ক্ষতিগ্রস্তরা কীভাবে অভিযুক্ত হতে পারে?