Cow Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় চেয়ারম্যানের স্বামী, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সুদীপ্তকে তলব সিবিআই-এর

CBI: গরু পাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠদের একাধিকবার তলব করেছে সিবিআই।

Cow Smuggling Case: গরু পাচার মামলায় চেয়ারম্যানের স্বামী, কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সুদীপ্তকে তলব সিবিআই-এর
গরু পাচার মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 20, 2022 | 9:08 PM

বীরভূম : গরু পাচার মামলায় আরও তৎপর সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনকে তলব করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার তলব করা হল বোলপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামীকে। গরুপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাবু দাসকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেই মতো হাজিরাও দেন তিনি। তদন্তকারী সংস্থার অস্থায়ী ক্যাম্প রতন কুঠিতে এসে হাজির দেন বাবু দাস। ঘণ্টাখানেক পর বেরিয়ে যান তিনি।

এছাড়াও এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের স্বামী সুদীপ্ত ঘোষকে। অনুব্রত ঘনিষ্ট সুদীপ্ত ঘোষ বর্তমানে তৃণমূলের জেলা সম্পাদকের পদে রয়েছেন। রতন কুঠি-র অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার হাজিরা দেন তিনিও।

কলকাতা থেকে এ দিন অফিসাররা বোলপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পে পৌঁছন। এদিনই গরুপাচার মামলার তদন্তে ফের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ কর্তৃপক্ষের কাছে জমি সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয় সিবিআই-এর তরফে। বিকেল ৩ টে ১৫ মিনিট নাগাদ ‘রতন কুঠি’ অস্থায়ী ক্যাম্পে জমির নথি নিয়ে পৌঁছন শান্তি মহারাজ। নথি তুলে দেন তদন্তকারী অফিসারদের হাতে।

গরুপাচার মামলার তদন্তে সম্পত্তির হদিশ করতে গিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সুরুল মৌজার একটি দানের জমি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েন ও সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানিকে বিক্রি করেছিল সঙ্ঘ। সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমি হস্তান্তর হয় মাত্র ১ কোটি ৬০ হাজার টাকায়। যে জমির দাম হতে পারে প্রায় ১০ কোটি টাকা। সেখানেই তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন জাগে, বাজারদরের চেয়েও কম দামে কেন জমি হস্তান্তর? তা হলে কি সেবাশ্রম সঙ্ঘের উপর চাপ সৃষ্টি করে জমি হস্তান্তর করানো হয়েছিল? সে বিষয়ে কথা বলতে ইতিপূর্বে সিবিআই ভারতসেবা আশ্রমে গিয়ে মহারাজের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। সূত্রের খবর, এদিন ফের সুরুল মৌজার ওই জমির ব্যাপারে নথি চেয়ে পাঠায় সিবিআই।

অন্যদিকে, গরুপাচার মামলায় ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্কের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য চান সিবিআই আধিকারিকরা। গতকাল লিখিত ভাবে তিনটে ব্যাঙ্কের কাছে নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের কর্মীরাও এদিন সিবিআই ক্যাম্পে গিয়েছিলেন।