CBI On Recruitment Scam: ‘আপনার ভূমিকা নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে’, OMR শিট বিকৃত মামলায় এবার কাঠগড়াতেই CBI

CBI On Recruitment Scam: এরপরই সিবিআই-কে বিচারপতির পরামর্শ,সব পেপার তিনবার চেক করে পাঠানো উচিত। কিন্তু রিপোর্ট পাঠাতেও এত দেরি হচ্ছে কেন? সিবিআই-কে বিচারপতি বলেন, "সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন।"

CBI On Recruitment Scam: 'আপনার ভূমিকা নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে', OMR শিট বিকৃত মামলায় এবার কাঠগড়াতেই CBI
ওএমআর শিট বিকৃত মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2023 | 12:34 PM

কলকাতা: “এবার তো আপনার ভূমিকা নিয়েই সন্দেহ হচ্ছে।” নবম দশমে শিক্ষক নিয়োগে সিবিআইকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। সিবিআই-এর ভূমিকায় তীব্র অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টে নবম দশম শ্রেণির মামলার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শুনানি ছিল। তদন্তকারী সংস্থার কাজের ধরণে বিরক্ত বিচারপতি বসু। এদিন সকালে সিল বন্ধ খামে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেটির সঙ্গে সিবিআই-এর আইনজীবীর রিপোর্টের কোনও মিল নেই। তাতেই বিরক্ত হন বিচারপতি বসু। বিচারপতি বলেন, “দেশের একটা প্রধান তদন্তকারী সংস্থার এমন ভুল কাম্য নয়। সিবিআই এর ফাইল করা রিপোর্টে, যা আছে তার চাইতে আইনজীবীর ফাইলে আরও বেশি তথ্য আছে। এটা কীভাবে হয়?” শুনানি চলাকালীন বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। সিবিআই-এর উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “এটা কি আপনার রেপুটেশনের সঙ্গে মিল খায়? আপনার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।”

মঙ্গলবার সকালে এই মামলার শুনানির প্রথমার্ধে সিবিআই-এর আইনজীবী আসেন অরিজিৎ মজুমদার। তিনি মুখ বন্ধ খামে বিচারপতির কাছে একটি রিপোর্ট জমা করেন। কিন্তু শুনানি চলাকালীন তিনি যে রিপোর্টটি পড়ে ‘ব্রিফ’ করছিলেন তাতে অন্য তথ্য জানা যায়। বিচারপতির কাছে খামে যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল, তাতে উল্লেখ ছিল ওএমআর শিট বিকৃত করার যে অভিযোগটি তদন্তাধীন। অথচ আইনজীবী ‘ব্রিফিং’য়ের সময় বলেছিলেন, ওএমআর শিট বিকৃতি মামলায় চার জন অভিযুক্তের নাম উঠে আসছে। এই তথ্য বিচারপতি যখন তাঁর কাছে জমা পড়া রিপোর্টে দেখতে পান না, তখন উষ্মা প্রকাশ করেন।  বর্ষীয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসেটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, “আসলে এটা ভুল হয়েছে। যে রিপোর্টটি জমা পড়েছে, সেটা আগের।” প্রথমার্ধে সিবিআই-এর এক আইনজীবী ভুল করে সেই রিপোর্ট খামে দিয়েছেন।

এরপরই সিবিআই-কে বিচারপতির পরামর্শ,সব পেপার তিনবার চেক করে পাঠানো উচিত। কিন্তু রিপোর্ট পাঠাতেও এত দেরি হচ্ছে কেন? সিবিআই-কে বিচারপতি বলেন, “সমাজ থেকে জঞ্জাল সরিয়ে উপযুক্তদের জায়গা করে দিন।”

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র ভূমিকা নিয়েও সরব হন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, “সব কি আদালতের দায়িত্ব? আপনাকে কেউ ঠকিয়ে চলে গেল আর আপনি চুপ করে বসে থাকবেন? এত ভয় কেন? যা হয়েছে মুছে এগিয়ে চলুন।” এসএসসি-কেই বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, “নিজের ক্ষমতা কেন প্রয়োগ করছেন না? আপনার চেয়ারম্যানকে বলুন।” বেনিয়মে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বরখাস্ত করুন। বৃহস্পতিবার ফের রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

এদিকে,আবার মঙ্গলবারই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই সিটের তদন্তকারী অফিসারের কাজে তীব্র অসন্তুোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই সিট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়সিবিআই তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে মঙ্গলবার সিবিআইয়ের সিট থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কড়া নির্দেশ, তদন্তের কোনও কাজে যেন সোমনাথ বিশ্বাস যুক্ত না থাকেন। কোনও ফাইলও যেন তিনি না ধরেন তদন্তকারী অফিসারকে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার সিবিআই-এর তদন্তের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ছাড়াও এবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিকে, এখন চাকরি দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।