Panchayat Elections 2023: প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির, বললেন পরিস্থিতি ‘অ্যাবনরমাল’
Panchayat Elections 2023: যেহেতু নোডাল অফিসার হিসেবে বিএসএফের আইজি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে রয়েছেন, তাই তাঁকে এই বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: প্রতিটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ৫০-৫০ অনুপাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হোক। যৌথ মঞ্চের করা মামলায় এমনই প্রস্তাব দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। গণনা পর্যন্ত বাহিনী মোতায়েন রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের তরফে আদালতে মামলা করা হয়েছিল। তাদের আর্জি ছিল, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা না হলে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করবেন ভোটকর্মীরা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চের প্রস্তাব, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে সমান অনুপাতে দুই বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
যেহেতু নোডাল অফিসার হিসেবে বিএসএফের আইজি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে রয়েছেন, তাই তাঁকে এই বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ভোটের কাজে মোতায়েন থাকবে রাজ্যের ৭০ হাজার বাহিনী ও কেন্দ্রের ৬৫ হাজার বাহিনী।
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যদি প্রতি প্রেমিসেস বা একটা নির্দিষ্ট জায়গায় দুই বাহিনীর দুজন করে মোতায়েন থাকে, তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। তবে এটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি নয়, এটা অ্যাবনরমাল পরিস্থিতি বলেও উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। আইনজীবীদের ব্যাখ্যা, ভোটের আগে যে মারামারি, রক্তপাতের ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে, সেই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতি পরিস্থিতি অ্যাবনরমাল বা অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেছেন। আগামিকাল, বুধবার এ ব্যাপারে নোডাল অফিসারকে বক্তব্য জানাতে হবে আদালতে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কিছু নিয়ম আছে। কোনও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ন্যূনতম আধা সেকশন বাহিনী অর্থাৎ ৪ জন জওয়ান মোতায়েন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া সম্ভব হবে কি না সেই প্রশ্নও রয়ে যাচ্ছে। সে সব বিবেচনা করে বাহিনী মোতায়েন করার এই প্রস্তাব দিয়েছে হাইকোর্ট।