AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Electric Bill: মাসে ১৫ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল! CESC-র আকাশছোঁয়া বিলে ‘নতুন বিপদ’ FPPAS চার্জ

Electric Bill: এপ্রিল মাসে এসি চললেও, বিলের ভয়ে হিসাব করে চালিয়েছেন, তবুও বিল এসেছে ১২ হাজার টাকার বেশি। অভিযোগ পেয়ে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করে গিয়েছেন, CESC-র বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি কিছুই। পরের মাসের বিল আবারও সেই পেল্লাই।

Electric Bill: মাসে ১৫ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল! CESC-র আকাশছোঁয়া বিলে 'নতুন বিপদ' FPPAS চার্জ
নাজেহাল গৃহকর্ত্রীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 11, 2024 | 4:17 PM

কলকাতা: বেহালার গোপাল মিশ্র রোডের বাসিন্দা কোয়েল চক্রবর্তী অধিকারী। বিদ্যুতের বিল দিতে গিয়ে নাজেহাল। তাঁর বক্তব্য, প্রত্যেক মাসে হাজার হাজার টাকা বিল পাঠাচ্ছে CESC। মার্চ মাসে সেভাবে এসি চলে নি, তাও বিল এসেছে সাত হাজার টাকার বেশি। এপ্রিল মাসে এসি চললেও, বিলের ভয়ে হিসাব করে চালিয়েছেন, তবুও বিল এসেছে ১২ হাজার টাকার বেশি। অভিযোগ পেয়ে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করে গিয়েছেন, CESC-র বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি কিছুই। পরের মাসের বিল আবারও সেই পেল্লাই।

মহিলার বক্তব্য, “বিলের পিছনে একটা বিষয় রয়েছে, যেটা কখনও বুঝতেই পারি না। বিলের পিছনে লেখা থাকে  FPPAS চার্জ। সেটা কোনও মাসে আসে ১৭২ টাকা, কোনও মাসে ১০৭ টাকা। এটা একেকবার কীসের হিসাব হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এখন তো এই গরমে এসিটাও চালাতে ভয় পাচ্ছি।”

বহুবার সিইএসসি অফিসে তাঁর স্বামী গিয়ে অভিযোগ করেছেন। সিএসসি থেকে লোক এসে সমস্ত লাইন চেক করেছে। অথচ বিল কোন মাসেই কম আসছে না।   কোয়েল  জানাচ্ছেন, বাড়িতে ল্যাপটপ কম্পিউটার, ফ্রিজ, পাখা, দুটি এসি। তাঁর দাবি, দুটি এসি-র মধ্যে একটি অল্টারনেটিভ করে চালানো হয়। তাও ২৪ ঘণ্টা এসি চলে এমনটা নয়, একটি ওয়াশিং মেশিন মাসে একবার চালানো হয়, তা সত্ত্বেও এত বিল কীভাবে আসছে প্রশ্ন তুলছেন কোয়েল চক্রবর্তী অধিকারী। এ তো গেল কোয়েল চক্রবর্তীর কথা। কিন্তু কলকাতা ও তার সন্নিহিত এলাকায় এরকম অনেকেরই একই অভিযোগ, হঠাৎ করেই যেন বিদ্যুতের বিলটা বেশি আসতে শুরু করেছে।

আসলে যত নষ্টের গোঁড়া এই FPPAS চার্জ। কী সেই চার্জ?  

এই শব্দের ফুল ফর্ম ‘ফুয়েল অ্যান্ড পাওয়ার পারচেজ অ্যাডজাস্টমেন্ট সারচার্জ’। বিষয়টি হচ্ছে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্রয় সামঞ্জস্য সারচার্জ। ২০২২- এ বিদ্যুৎ মন্ত্রক জারি করে এই চার্জ। বিদ্যুতের বিল বাড়া কমা নির্ভর করে এই চার্জের ওপরেই। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্রয়ের খরচ যতটা বাড়বে, সমানুুপাতিক হারে বাড়বে এই বিদ্যুতের বিল। অর্থাৎ সরকার যে টাকায় বিদ্যুৎ কিনবে, সেই শতাংশ ভরপায়ী করতে হবে আম জনতাকেই। সেই চার্জ কিন্তু প্রত্যেক মাসে ওঠানামা করে। CESC-এর ওয়েবসাইটেও FPPAS চার্জ প্রত্যেক মাসেরটা আপলোড করে দেওয়া থাকে।

যদিও এই FPPAS চার্জের বিরোধিতা করছে একটি সংগঠন ABECA। এই সংগঠনের সেক্রেটারি সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “আসলে এই FPPAS-এর দর কতটা বাড়বে, তা পুরোটাই নির্ভর করে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। এটা পুরোপুরিই স্বৈরাচারী মনোভাব। এই দর ওঠানামার নির্দিষ্ট কোনও নিয়ম নেই। কিন্তু সেটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের ওপর। তাতেই আম জনতার বিদ্যুতের বিল বাড়ছে লাফিয়ে।”