Chhat Puja 2021: রবীন্দ্র সরোবরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, ১৩৮ টি ঘাটে ও ৮ কৃত্রিম ঘাটে ‘দুশ্চিন্তা’র ছট পুজো
Chhat Puja 2021: রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশ মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরোবর চত্বরে। সরোবরে ঢোকার সমস্ত গেটে আলাদা করে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে।
কলকাতা: রবীন্দ্র সরোবর আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রীতিমতো দুর্ভেদ্য। প্রশাসনের নির্দেশ ভঙ্গ করে যাতে কেউ ভিতরে ঢুকতে না পারে, তার জন্য বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। গত ৯ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের তরফে কড়া নজরদারি রয়েছে। ১২ টি গেটের সর্বত্র ব্যারিকেড। সব কটি গেটে পুলিশ মোতায়েন। রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই নির্দেশ মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরোবর চত্বরে। সরোবরে ঢোকার সমস্ত গেটে আলাদা করে বাঁশের ব্যারিকেড করা হয়েছে। যেখানে পাঁচিলের উচ্চতা কম সেখানে টিন লাগানো হয়েছে। গেটে গেটে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। আগামিকাল সন্ধে পর্যন্ত পার্ক সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। ঢুকতে পারবেন না প্রাতঃভ্রমণকারীরাও। ছট পুজোর জন্য বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কলকাতা পুর এলাকায় মোট ১৩৮ টি ঘাটে ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং কলকাতা পুরসভা যৌথ উদ্যোগে এই ঘাট তৈরি করেছে। এর মধ্যে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে ৩৯টি ঘাট তৈরি করেছে কেএমডিএ। বাকি ৯৯ অস্থায়ী এবং স্থায়ী ঘাট তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা।
৮টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। সমস্ত ঘাট ব্যারিকেড করবে পূর্ত দফতর। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যাবস্থা দেখভাল করার ব্যবস্থা করবে ভারতীয় নৌ-বাহিনী। কলকাতা পুলিশ, ঘাট গুলিতে নিরাপত্তা দেবে। কলকাতা পুর সভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা ও লাইটিং এর ব্যাবস্থাপনা করবে।
রেল কর্তৃপক্ষ এই সময় চক্র রেল বন্ধ রাখবে বলে জানা গিয়েছে। ১০ ও ১১ তারিখ অর্থাত্ বুধ ও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে চক্র রেল বন্ধ রাখা হবে। ১০ তারিখ বিকালে ও ১১ তারিখ দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চক্র রেল। প্রত্যেকটি ঘটে খাওয়ার জলের ব্যাবস্থা থাকবে। থাকবে মহিলাদের জামা কাপড় পরিবর্তন করার জন্য আলাদা ব্যাবস্থা। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সমস্ত নিয়ম মেনে পালিত হবে ছট পুজো হবে।
ছট পুজোতেও কেবল ২ ঘণ্টাই এই বাজি ফাটানো যাবে। পাশাপাশি ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের অনুষ্ঠানে কোন সময়ে বাজি ফাটানো যাবে, সেই সময় সীমাও ধার্য করে দিল রাজ্য সরকার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্রিসমাস ও বর্ষশেষের রাতে ১১.৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব আতসবাজি ফাটানো যাবে।
পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে আতসবাজি বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি তা বন্ধ না করে নিরাপদ ও কম শব্দ উত্পন্ন করে সেই ধরনের বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ছট পুজোতেও বাড়ে দূষণের মাত্রা। তাই ঘাটগুলিতে যাতে আদালতের নির্দেশ মেনেই বাজি পোড়ানো হয়, এবার সেদিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু সকাল থেকে এদিনের চিত্র ভয় ধরাচ্ছে। ঘাটে ঘাটে মানুষের ঢল অতিমারি পরিস্থিতিতে ভয় ধরাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বালাই নেই কোভিড বিধির, ছটেও ফিরল ভিড়ের ছবি, পুলিশ নীরব দর্শক!