AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nandigram: ১ লাখ জমা করলে ২১ হাজার রিটার্ন! এই ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে আমানতকারীদের যা হল…

Nandigram: প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর, এগরা, মহিষাদল, হলদিয়ার চৈতন্যপুর এবং হাওড়ার শ্যামপুরে অফিস খুলেছিল। এক লক্ষ জমা রাখলে মাসে ২১ হাজার টাকা রির্টান। এই টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Nandigram: ১ লাখ জমা করলে ২১ হাজার রিটার্ন! এই ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানে আমানতকারীদের যা হল...
অভিযুক্তের বাড়িImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2025 | 4:14 PM
Share

নন্দীগ্রাম: মোটা টাকা ফেরতের টোপ! কয়েক কোটি টাকা তুলে বেপাত্তা নন্দীগ্রামের যুবক। চিটফান্ড সংস্থার কায়দায় অল্প সময়ে মোটা টাকা ‘রির্টানে’র টোপ দিয়ে কয়েক কোটি টাকা তোলার অভিযোগ। অভিযুক্তের নাম অনুপকুমার দাসী। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের রেয়াপাড়ায়।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর, এগরা, মহিষাদল, হলদিয়ার চৈতন্যপুর এবং হাওড়ার শ্যামপুরে অফিস খুলেছিল। এক লক্ষ জমা রাখলে মাসে ২১ হাজার টাকা রির্টান। এই টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। রেয়াপাড়া পুলিস ফাঁড়ি থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে অভিযুক্তের বাড়ি। প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই যুবক শেয়ার মার্কেটে টাকা খাটিয়ে বিপুল মুনাফা করার ফন্দি এঁটেছিল। পাঁচটি জায়গায় অফিস খুলে অনেক কর্মী নিয়োগ করে আকর্ষণীয় রির্টানের টোপ দেয়। প্যাড ছাপিয়ে সিল, সই দিয়ে আমানতকারীদের থেকে টাকা তোলা হয়। সেই নথিই সার্টিফিকেট হিসেবে আমানতকারীর কাছে জমা থাকত।

দু’ এক মাসে টাকা রিটার্নের প্রতিশ্রুতি মতো টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই ব্যবসায় লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাউকে টাকা দেওয়া হয়নি।  টাকার জন্য আমানতকারীরা চাপ দিতেই ধীরে ধীরে অফিসের ঝাঁপ পড়তে থাকে।  প্রতারিতরা জানাচ্ছেন,  গত ২১ মার্চ অনুপের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রতারিতরা। সেসময় বাড়িতে অভিযুক্তের বাবা, মা ছিলেন। অবিলম্বে টাকা ফেরত না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আমানতকারীরা। তার দু’দিন পর ফের অভিযুক্তের বাড়িতে আমানতকারীরা যান। তাঁকে না পেয়ে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।

অভিযুক্তের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায়, এব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। নন্দীগ্রাম থানার আইসি প্রসেনজিৎ দত্ত বলেন, “প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” দ্রুত অভিযুক্তকে খুঁজে বার করা হবে। তাঁর বাবা-মাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, এভাবে স্বল্প সময়ে টাকা দ্বিগুণ করার আশায় যাতে কেউ প্রতারণার ফাঁদে পা না দেন।