‘কমিশনের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক’, গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসছেন মমতা
তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে তিনি গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে চলেছেন। টুইট করে তিনি নিজেও ধরনায় বসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কলকাতা: এ বার কমিশনের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে নামতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁর নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর এ বার ধরনায় বসতে চলেছে তিনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে তিনি গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে চলেছেন। টুইট করে তিনি নিজেও ধরনায় বসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মমতা টুইটে লিখেছেন, “নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমি আগামিকাল দুপুর ১২ টা থেকে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসব।”
To protest against the undemocratic and unconstitutional decision of the Election Commission of India, I will sit on dharna tomorrow at Gandhi Murti, Kolkata from 12 noon.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 12, 2021
বাংলার রাজনীতিতে গান্ধীমূর্তি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা, এই দুইয়ের সমাপতন রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে থেকেছে। যে সময় সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম থেকে ফিরেও তিনি একাধিকবার এই গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেছেন। শেষবার মেট্রোর ওয়াই চ্যানেলে তিনি ধরনায় বসেছিলেন ২০১৯ সালে। তৎকালীন কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে তিনি দু’দিন ব্যাপী এই ধরনা চালান। এ বার ফের একবার ধরনায় বসবেন তিনি। তবে রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন তাঁর এই ধরনায় বসার প্রভাব পড়বে কতটা, তা নিয়েই তুঙ্গে উঠছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
উল্লেখ্য, সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশনের। সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে ভোটবার্তা দিয়ে এবং কেন্দ্রীয় আধাসেনাকে ঘেরাও করার নিদান দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যান জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
আধাসেনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, “সিআরপিএফ যদি গণ্ডগোল করে, মেয়েদের বলে দিচ্ছি, একদল ওদের ঘেরাও করে রাখবেন, আরেকদল ভোট দিতে যাবেন। ভোট নষ্ট করবেন না। আপনি যদি শুধু ঘেরাও করে রাখেন তাহলে (ওরা) ভাববে ভালই তো, ভোটটা তো পড়ল না। ওদের এটাই কিন্তু চাল। ঘেরাও ওইভাবেও করতে হবে না। কথা বলবেন মানেই ঘেরাও। দেখে নেবেন পরিস্থিতি অনুযায়ী।” এই ঘটনার পরই শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের
পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “আমি আমার সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের উদ্দেশে হাতজোড় করে আবেদন করছি, একটা শয়তানের কথা শুনে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না। ও বিজেপির থেকে টাকা খেয়েছে। ও বহু সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে। সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করতে বিজেপি যে টাকা দিয়েছে, তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সিপিএম ও বিজেপির কমরেডরা।” তাঁর এই দুই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই তৃণমূল নেত্রীকে নোটিস দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও মমতার জবাবে কমিশন খুশি নয়। তিনি বেছে কিছু অংশের জবাব দিয়েছেন বলে দাবি কমিশনের। যে কারণে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে ব্যান করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গুন্ডাদের পাতাল থেকে খুঁজে এনে জেলে ভরব, শাহি হুঙ্কার হেমতাবাদে