CM Mamata Banerjee on Durga Puja: এ বছর এক মাস আগেই পুজোর গন্ধ বাংলায়, ১ সেপ্টেম্বর উলু, শঙ্খে ‘মাতৃবন্দনা’
Durga Puja 2022: বেলা ১টায় কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হবে মিছিল। শঙ্খ হাতে রাস্তায় বেরোবেন রাজ্যের 'লক্ষ্মী'রা।
কলকাতা: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যানজিবেল হেরিটেজ’-এর মর্যাদা দিয়েছে ইউনেসকো। এবারের দুর্গাপুজোয় তাই বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়ার ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই বলেছিলেন, দুর্গাপুজোর এক মাস আগে থেকে এই সম্মান-উদযাপন হবে এবার। বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন, ১ সেপ্টেম্বর বিশেষ কর্মসূচি পালিত হবে রাজ্যজুড়ে। বেলা ১টায় কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হবে মিছিল। শঙ্খ হাতে রাস্তায় বেরোবেন রাজ্যের ‘লক্ষ্মী’রা। সেই মিছিলে অংশ নেবেন সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সবাইকে দেখিয়ে দিতে বাংলাকে সম্মান দিলে বাংলা তার কীভাবে মর্যাদা দেয়।’
? BREAKING
Durga Puja in Kolkata has just been inscribed on the #IntangibleHeritage list.
Congratulations #India ??! ?
ℹ️https://t.co/gkiPLq3P0F #LivingHeritage pic.twitter.com/pdQdcf33kT
— UNESCO ?️ #Education #Sciences #Culture ??? (@UNESCO) December 15, 2021
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১ সেপ্টেম্বর একটা প্রোগ্রাম করতে হবে। সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশসুপারকে এখন থেকেই বলে রাখছি। সবাইকে বলে রাখবেন। বেলা ১টার সময় হবে। অরূপ বিশ্বাস দুর্গাপুজোর যে কমিটি রয়েছে তার সঙ্গে কথা বলে নেবে। সকলে থাকবে। কলকাতা পুলিশ সমস্ত ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানাবে। ডিজি পুলিশ সমস্ত জেলার ক্লাবগুলিকে ডাকবে। প্রত্যেক জেলায় জেলায়, সবাই তো এতদূর আসতে পারবে না তারা জেলায় বেলা ১টায় সম্মানজ্ঞাপণ করবে। লক্ষ্মীরভাণ্ডারের মেয়েরা শাঁখ বাজাবে। সারা বাংলাজুড়ে কেউ উলুধ্বনি দেবে, কেউ দোয়া করবে, কেউ প্রে করবে। যার যা ধর্ম তা মেনেই এই উদযাপন হবে। ইউনেসকো দুর্গাপুজোকে হেরিটেজের সম্মান দিয়েছে। তাই এটা হবে। আমরা কলকাতায় বেলা ১টায় শ্যামবাজারে জমায়েত করব। সেখান থেকে আমরা মিছিলটা কত দূর নিয়ে আসব ঠিক করে নেব। পুজো কার্নিভ্যাল নিয়ে পর্যটন দফতরকে এখনই বলে রাখছি সমস্ত ডিপ্লোম্যাটদের আমন্ত্রণ করবে।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, এবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালও হবে নজরকাড়া। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুজো কার্নিভাল রেড রোডে দেখার মতো করব। ১ সেপ্টেম্বর মিছিলটাও যে যেমন পারবে আলোকময় করে পুজোর আগে এক মাস আগেই রাস্তায় নেমে পড়ব। যাতে সব মানুষ দেখে বাংলাকে সম্মান দিলে বাংলা কীভাবে তার মর্যাদা দেয়। সেটা দেখানোও আমাদের কাজ। এটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে সমস্ত ডিপার্টমেন্টকে নিতে হবে। আমি মুখ্যসচিবকে বলব একটা লোগো তৈরি করতে পর্যটন দফতর, তথ্য সংস্কৃতি দফতরকেও সঙ্গে নেবে। একটা লোগো হবে। প্রত্যেক ক্লাব ওই লোগো সারা বাংলাজুড়ে ব্যবহার করবে। আমাকে সাজেশন পাঠাবেন। জানিয়ে দেব। বাংলাকে গর্ব করার যা পাই সেগুলি সম্মান দিয়ে আগলে রাখতে হবে।” প্রসঙ্গত, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হয়েছে ইন্টার-গভর্নমেন্ট কমিটির ১৬তম অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেসকোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হয়।