CM Mamata Banerjee: ‘রানিগঞ্জও হতে পারে জোশীমঠ!’ ২০-৩০ হাজার মানুষের বিপদের আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর
রানিগঞ্জে ধস নামলে একসঙ্গে ২০-৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অবিলম্বে এবিষয়ে কেন্দ্রের নজর দেওয়ার দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
কলকাতা: জোশীমঠের মতো অবস্থা হতে পারে রানিগঞ্জেরও। মঙ্গলবার এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রানিগঞ্জে বিপর্যয় ঘটলে ২০-৩০ হাজার মানুষের বিপদ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে রানিগঞ্জে বিপর্যয় ঠেকাতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করছে না বলেও অভিযোগে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন হাসিমারা যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে জোশীমঠ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেই রানিগঞ্জ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি কেন্দ্র ও কোল ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি বলেন, “জোশীমঠের মতো অবস্থা হতে পারে রানিগঞ্জেরও। কেন্দ্রের নজর কেবল কয়লা খনিগুলির দিকে। কিন্তু, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা নেই। রানিগঞ্জে প্রায়ই ধস নামে। এব্যাপারে বহুবার কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি। পরিত্যক্ত খনিগুলির দিকে নজর দেওয়া এবং ধস-কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলেছি। কিন্তু কেন্দ্র এই বিষয়ে কর্ণপাত করে না। আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে যতটা সম্ভব এলাকার উন্নয়নের চেষ্টা করেছি।” রানিগঞ্জে ধস নামলে একসঙ্গে ২০-৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অবিলম্বে এবিষয়ে কেন্দ্রের নজর দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমল থেকে রানিগঞ্জ, আসানসোল এলাকায় কয়লা খনন শুরু হয়েছে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে কয়লা খননের নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ফলে কয়লা তুলে নেওয়ার পর খনিগুলি ভরাট করার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হত না। পরবর্তীতে কোল ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন সংস্থা কয়লা খননের দায়িত্ব নিলে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যদিও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও আদতে আজও অধিকাংশ সময় কয়লা তুলে নেওয়ার পর খনিগুলি ভরাট না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে প্রায় সময়ই রানিগঞ্জ এলাকায় ধস নামে।