Cyber Crime: ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে ‘যৌন কেলেঙ্কারি’ ফাঁসের হুমকি, ‘সেক্সটরশন’-এর নয়া ফাঁদ
Crime News: ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে নারীর বিবস্ত্র ছবি এবং উদ্দীপক ভিডিয়ো দেখিয়ে উত্তেজিত করে তোলা হচ্ছে পুরুষদের। এরপর সেই ব্যক্তির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির স্ক্রিনশট তোলা হচ্ছে। সঙ্গে স্ক্রিন রেকর্ডিংও।
কলকাতা: অচেনা নম্বর থেকে ফোন। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব এবং ধীরে ধীরে পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো করে সম্পর্কের নিত্য নতুন মোড়। প্রতি মোড়ে চরম উন্মাদনা। মন থেকে সম্পর্ক যে কখন শরীরী হয়ে গিয়েছে এবং সবটাই ভিডিয়ো কলে তা বুঝেই উঠতে পারেননি। যখন বুঝেছেন, ততক্ষণে কেস খেয়ে লাট। সেক্সটরশনের ফাঁদটা এভাবেই পাতা হয়। এসব চেনা ছক। এরপর কারি কারি টাকা চেয়ে ব্ল্যাকমেইল। হতাশা, সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকা- এই বুঝি সকলে সবটা জেনে গেল, দেখে ফেলল। সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা বাজারে এ অভিযোগ সাইবার ক্রাইম শাখার কাছে নতুন কিছু নয়। তবে যেটা নতুন, সেটা সেক্সটরশনে এবার ঢুকেছে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ও। ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে টাকা দিতে চাপ দেওয়ার অভিযোগও সামনে আসছে আজকাল। আর এই ধরনের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে সজাগ থাকতে হবে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই ধরনের প্রতারণার খবর তুলে ধরছে TV9 বাংলা। কীভাবে প্রতারকরা জাল পাতে, তা তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে সাবধান হওয়ার বার্তা দিচ্ছে TV9 বাংলা।
অচেনা কারও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বন্ধুত্বের ডাক থেকে প্রতারণার ফাঁদ, নতুন কিছু নয়। হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিয়ো কলে বিবস্ত্র নারীর ছবি দেখিয়ে উল্টোদিকে থাকা পুরুষকে উত্তেজিত করে প্রতারণার নয়া ফাঁদে জড়িয়েছেন অনেকেই। সর্বস্বান্ত হওয়ার নমুনাও আছে এই কেসে। যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে মানুষজনকে সর্বস্বান্ত করেছে প্রতারকেরা। তবে এবার বাজারে প্রতারণার আপডেট ভার্সন। বিবস্ত্র অবস্থায় নারীর ছবি দেখানোর পর, সেই নারীর ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে চলছে ব্ল্যাকমেইল।
কীভাবে এই প্রতারণা হচ্ছে
ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে নারীর বিবস্ত্র ছবি এবং উদ্দীপক ভিডিয়ো দেখিয়ে উত্তেজিত করে তোলা হচ্ছে পুরুষদের। এরপর সেই ব্যক্তির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির স্ক্রিনশট তোলা হচ্ছে। সঙ্গে স্ক্রিন রেকর্ডিংও। ভিডিয়ো কল শেষ হওয়ার পরই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করছেন প্রতারকরা। মোটা টাকা দাবি করা হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে টাকা না দিলে সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে ওই ভিডিয়ো।
এবার হাতিয়ার ডেথ সার্টিফিকেট
ভিডিয়ো দেখিয়ে কাজ না হলে এরপরই প্রয়োগ করা হচ্ছে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’। ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট পাঠানো হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে। এবং বলা হচ্ছে যে মহিলার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেছেন সে আত্মহত্যা করেছে। এরপরই ভিন রাজ্যের পুলিশ কর্তার নাম নিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে লোকলজ্জা, আইনি জটিলতার ভয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। এভাবেই চলছে টাকা তোলা।
সম্প্রতি কলকাতার এক ব্যক্তির কাছেও ঠিক এরকমই প্রতারকদের বার্তা আসে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে লালবাজার সাইবার বিভাগ। ভিন রাজ্যের যে হাসপাতালের নামে ডেথ সার্টিফিকেট পাঠানো হয়, সেই হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায় এরকম কোনও মৃত্যুসংবাদ তাদের কাছে নেই। পরে সেই ডেথ সার্টিফিকেটকে হাতিয়ার করেই দু’জনের খোঁজ পায় পুলিশ। উত্তর প্রদেশের পিলিভিটের সতীশ কুমার ও হরিয়ানার নুহ থেকে রমেশকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। লালবাজার সূত্রে খবর, প্রতিমাসেই গড়ে ৬-৭টি অভিযোগ দায়ের হচ্ছে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। অর্থাৎ সেক্সটরশনের অভিযোগ বাড়ছে বাংলাতেও।