পুলিশের কথাতেই নবান্নের আরও কাছে DA আন্দোলনকারীরা, উঠল ‘হরি বোল’ ধ্বনি
DA: সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে ফুটপাথে ধর্না। ধর্নার বিকল্প জায়গা ঠিক করে দিল পুলিশ। নবান্নের আরও কাছে ধর্নায় ডিএ আন্দোলনকারীরা। পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
কলকাতা: নবান্নের সামনে ডিএ আন্দোলনকারীদের বাধা পুলিশের। ব্যারিকেড দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিশকে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের কপি দেখিয়ে ধর্নায় বসার দাবি জানান। কিন্তু পুলিশ তাতে সম্মতি হয় না। এরফলে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।পরে পুলিশই তাঁদের ধর্নার বিকল্প জায়গা ঠিক করে দেয়। রাস্তা ছেড়ে ফুটপাথে ধর্নায় বসেন তাঁরা। যদিও আশ্চর্যের বিষয়, নবান্নের আরও কাছেই এগিয়ে এলেন তাঁরা। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবেই ফুটপাথে ধর্না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশি বাধার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন তাঁরা।
বকেয়া ভাতা ও স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন আজ, শুক্রবার ৩৩০ দিনে পড়ল। কিন্তু সেই আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছিল শহিদ মিনার থেকে। তাঁদের এই আন্দোলন এবার নবান্নের কাছে। প্রশাসনেরই একটি সূত্র বলছে, গত ১২ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি, যে নবান্নের সামনে বসে কেউ আন্দোলন করতে পারছেন।
আন্দোলনকারীরা এদিন সকাল সাড়ে ছ’টার মধ্যেই নবান্নের সামনে চলে আসেন। তাঁরা নিজেরা বাসস্ট্যান্ডের সামনে ব্রিজের নীচে জায়গা নির্দিষ্ট করেছিলেন। আদালতের কাছে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ব্রিজের নীচেই তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ করবেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে যখন তাঁরা সেখানে আসেন, পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের বক্তব্য, ওই রাস্তায় ধর্নায় বসলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হবে। এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
পরে বিকল্প জায়গা ভেবেচিন্তে ঠিক করে দেয় পুলিশই। নবান্ন থেকে সরিয়ে তাঁদের যেখানে বসতে দেওয়া হয়েছে, সেটি আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের আরও কাছাকাছি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষই বললেন, “আমাদের কাছে লিখিত নির্দেশ রয়েছে। ওঁদের যদি কোনও নির্দেশ দিতে হয়, তাহলে সেটা লিখিত আকারেই দিতে হবে। যেহেতু ১১ মাস ধরে নবান্ন আমাদের কাছে যাওয়ার সময় পাননি, তাই বাধ্য হয়ে আমাদের নবান্নের কাছে আসতে হয়েছে।” নবান্নের সামনে এখন ‘বল হরি বোল’ সুর চড়াচ্ছেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, এই ভিক্ষার প্রয়োজন নেই তাঁদের।