Kolkata Police: কলকাতা পুলিশই রুখে দিল মহিলার আত্মহত্যা, ১০০ ডায়ালেই ‘নবজন্ম’
KP: থানায় খবর পৌঁছতেই কোনওরকম সময় নষ্ট না করে রজনীকান্ত দাস রোডের ঠিকানায় রওনা দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা দেখে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেও উত্তর না পেয়ে দরজা ভেঙেই ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ে পুলিশ।
কলকাতা: কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হেল্পলাইন নম্বরই বাঁচিয়ে দিল বছর একচল্লিশের এক মহিলাকে। অবসাদ থেকে নিজেকে শেষ করে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন ওই মহিলা। গলায় ফাঁস অবধি লাগানো হয়ে গিয়েছে। বহু চেষ্টা করেও মেয়েরা দরজা খুলতে পারেননি। এরপরই ১০০ নম্বরে ডায়াল। ফোনের ওপার থেকে সবটা শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসে টিম। একটা মুহূর্তও নষ্ট করেনি কলকাতা পুলিশ। তাতেই দুই মেয়ে ফিরে পেলেন মাকে। দরজা ভেঙে মহিলাকে প্রাণে বাঁচাল পুলিশ। আপদকালীন এমার্জেন্সি নম্বর এই ১০০। দিনেদুপুরে কিংবা মাঝরাতে কলকাতাবাসী এই নম্বরে ফোন করলে পেতে পারেন পুলিশি সহযোগিতা। এটা কলকাতা পুলিশেরই জরুরি নম্বর।
জার্মান কনস্যুলেটে কর্মরত বছর একচল্লিশের মহিলা। দুই মেয়ে ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে গড়ফা থানা এলাকার রজনীকান্ত দাস রোডের থাকেন। রবিবার রাত ১১টা ১৫ নাগাদ হঠাৎই ফোন করেন ওই মহিলার বড় মেয়ে। বলেন, মা দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছেন।
থানায় খবর পৌঁছতেই কোনওরকম সময় নষ্ট না করে রজনীকান্ত দাস রোডের ঠিকানায় রওনা দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা দেখে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেও উত্তর না পেয়ে দরজা ভেঙেই ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ে পুলিশ। গলায় ফাঁস লাগিয়ে প্রায় ঝুলেই পড়েছিলেন মহিলা। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে নামিয়ে আনা হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক সমস্যা নিয়ে সমস্যায় ছিলেন ওই মহিলা। তা থেকে মানসিক অবসাদও কাজ করছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মানসিক অবসাদ থেকেই এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছিলেন বলেই পুলিশের অনুমান।