Durga Puja 2023: অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পুজোর থিম ‘Say No to NRC CAA’

এ বছরও কলকাতার রুবি পার্কের কাছে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। তাঁদের এ বারের পুজোর থিম ‘Say No to NRC CAA’। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, সনাতনীদের জন্য নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি জানাচ্ছি আমরা। কোনও মূল্যেই বাংলা ভাগ হতে দেবে না বলেও জানিয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।

Durga Puja 2023: অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পুজোর থিম ‘Say No to NRC CAA’
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2023 | 8:11 PM

কলকাতা: মা দুর্গার পায়ের নীচে মহাত্মা গান্ধীর মতো দেখতে অসুরকে ঘিরে গত ব্যাপত হইচই পড়েছিল গোটা দেশে। ওই প্রতিমার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভাকে। এ বছরও কলকাতার রুবি পার্কের কাছে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। তাঁদের এ বারের পুজোর থিম ‘Say No to NRC CAA’। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, সনাতনীদের জন্য নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি জানাচ্ছি আমরা। কোনও মূল্যেই বাংলা ভাগ হতে দেবে না বলেও জানিয়েছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।

গত বছরের অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার অসুর দেখে সবাই ভেবেছিলেন মহাত্মা গান্ধীর কথা। কিন্তু গান্ধীজিকে অসুর বানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা মুখে রক্ত তুলে বলেছি, গান্ধীজিকে মহিষাসুর করিনি। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আমরা গান্ধীজিকে জাতির জনক মানি না। আমাদের কাছে দেশের আইকন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এর পর আমরা দাবি তুলেছিলাম টাকায় নেতাজির মুখ চাই।”

এ বছরের পুজোর থিমে সিএএ, এনআরসি বিরোধিতার পিছনেও যুক্তি দিয়েছেন চন্দ্রচূড়। তিনি বলেছেন, “ বাংলার সার্বিক উন্নয়নে মতুয়া সম্প্রদায় সহ সকল সনাতনীদের জন্য চাই নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। যাঁরা এই দেশটাকে নিজের মনে করেন, কেন তাঁরা এনআরসি, সিএএ-এর লাইনে দাঁড়াবেন? কেন পরিচয়পত্রের অজুহাতে দেশের বাঙালি সনাতনীদের হেনস্থা হতে হবে? শুধু তাই নয় মতুয়া সম্প্রদায়ের সাথেও বারবার যে অন্যায়টা করা হচ্ছে, দেশ থেকে তাড়ানোর জুজু দেখিয়ে তাদের সেন্টিমেন্ট নিয়ে যেভাবে খেলা হচ্ছে তা অত্যন্ত অন্যায়। তাই আমাদের এই বছরের দুর্গা পূজার থিম- মতুয়া সহ সমস্ত সনাতনী মানুষদের জন্য নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। আমরা কোনও মূল্যেই আর পশ্চিমবঙ্গকে বিভাজিত হতে দেব না।”

প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন দল, প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রচূড় গোস্বামী। সেখানে বাংলার স্বার্থে এক যোগে কাজ করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল মহাসভার তরফে। এর পর থেকেই মহাসভার বিরুদ্ধে তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ওঠে। সিএএ এবং এনআরসি-র বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছে তৃণমূল। এ বার সেই সুরই যেন প্রতিধ্বনিত হল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার দুর্গাপুজোয়।

এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “এই ধরনের সংগঠনের মূল কাজ হল নিজেদের নাম বাঁচিয়ে রাখা। কিছু বিতর্কিত বিষয় তুলে ধরে নিজেদের নাম ভাসিয়ে রাখার এই প্রচেষ্টা, মনে হয় না খুব কাজে দেবে। এই ইস্যুতে এদের অস্তিস্ত্ব এতদিন দেখা যায়নি। এই ধরনের সংগঠনগুলির উপস্থিতি নিয়েই মানুষের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।”