Duttapukur Blast: বিধায়ক দায় এড়াতে পারেন না, দত্তপুকুর বিস্ফোরণে সরব আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি
Duttapukur: স্থানীয় থানার ইনচার্জের সাসপেনশনকে স্বাগত জানিয়ে কাটমানির অভিযোগে দিলেন সিলমোহর। ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেছিলেন, ওখানে বাজি তৈরি হতো তিনি জানতেন না! আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির বক্তব্য, বিধায়ক দায় এড়াতে পারেন না।
কলকাতা: শাসককে স্বস্তি দিতে গিয়ে কি অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলল সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি? দত্তপুকুর বিস্ফোরণের ২৪ ঘণ্টা পরে সাংবাদিক বৈঠকের শুরুটা স্বস্তিসূচক বক্তব্য দিয়ে শুরু করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান বাবলা রায়। বলেন, তৃণমূল সরকারের ভাবমূর্তি কলুষিত করার জন্য দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে তৃণমূল বাজি তৈরি করছিল বলা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, সেখানে বাজি নয়, বোমা তৈরি হচ্ছিল। আর সেই বোমাশিল্পের কারিগররা আইএসএফের সঙ্গে যুক্ত বলে বক্তব্য আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির। কিন্তু এরপর যা বললেন তাতে শাসকের পক্ষে অস্বস্তির বার্তা বয়ে আনার পক্ষে যথেষ্ট।
স্থানীয় থানার ইনচার্জের সাসপেনশনকে স্বাগত জানিয়ে কাটমানির অভিযোগে দিলেন সিলমোহর। ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেছিলেন, ওখানে বাজি তৈরি হতো তিনি জানতেন না! আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির বক্তব্য, বিধায়ক দায় এড়াতে পারেন না। তাঁর গাফিলতি ছিল। নীলগঞ্জে পপ-পপ বোমা তৈরি হচ্ছিল। এর উপর কেন কারও নজরদারি ছিল না, প্রশ্ন তোলেন বাবলা রায়। প্রসঙ্গত, এই পপ-পপ বোমা বেআইনি। কারণ, এতে আতসবাজির মশলা নেই।
বাবলা রায় বলেন, “ওখানে আতসবাজি নয়, বোমাবাজির শিল্প গড়ে ওঠার চেষ্টা হয়েছিল। আমরা রুখে দিই। আমি নিজে গিয়ে দেখেছি ওখানে বোমা বাঁধা হয়েছে। এই বাজিতে সলতে নেই, তা বাজি নয়, অবৈধ। সলতে থাকলে তবেই সেটা আতস বাজি। ওখানে আমি সলতে দেখিনি। স্টোন চিপস ছিল। সেটাও তো বোমা বাঁধতে লাগে না। ওটা বোমা বাঁধতেই কাজে লাগে। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও আমি খুবই বিরক্ত ছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলাম অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে। খবর পেলাম, ওখানকার আইসিকে সাসপেন্ড করেছে। আমি খুশি।”