Jadavpur University Death Case: কেউ বিজ্ঞানী হলেও খুন করার অধিকার জন্মে যায় না, যাদবপুর-মামলায় সওয়াল সরকারি আইনজীবীর
Jadavpur Student Death: এই ঘটনাকে পরিকল্পিত অপরাধ বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী। সওয়াল-জবাবের পর তাঁদের প্রত্যেককে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা: যাদবপুর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ বর্তমান ও কেউ প্রাক্তন ছাত্র। যে রাতে হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু হয়, সেই রাতে যাঁরা হস্টেলে উপস্থিত ছিলেন, তাঁরাই পুলিশের কড়া নজরে রয়েছেন। আজ, সোমবার সেই ধৃত ছাত্রদের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, অনেককেই ছেড়ে রাখা হচ্ছে। আসল দোষীরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি উল্লেখ করেন ধৃত ছাত্রদের মেধার কথা। তবে সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, মেধা যতই থাকুক না কেন, তাতে কারও খুন করার অধিকার জন্মে যায় না।
সোমবার মোট ছ জনকে আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁরা হলেন মহম্মদ আরিফ, মহম্মদ আসিফ আজমল, অঙ্কন সর্দার, সপ্তক কামিল্লা, অসিত সরদার ও সুমন নস্কর।
৯ অগস্ট রাতে যাদবপুরের মেন হস্টেলে ওই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই রাতের ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বলেন, ওই রাতে পুলিশ যখন গেল, তখন সব উচ্চ শিক্ষিত ছেলেরা ওখানে ছিল। পড়ুয়াদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই সব তথ্য বের করতে তাঁদের ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি রক্তমাখা যে গামছা উদ্ধার হয়েছে সেটিও ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট দেখার পর হবে ঘটনার পুনর্নির্মাণ। সরকারি আইনজীবী এদিন স্পষ্ট বলেন, যদি কেউ বিজ্ঞানীও হন, তাহলেও তাঁর খুন করার অধিকার হয়ে যায় না। বাংলার যে ছাত্র চন্দ্রযান অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন, তিনিও যদি খুন করেন তাহলেও তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। এই ঘটনাকে পরিকল্পিত অপরাধ বলে উল্লেখ করেন আইনজীবী। সওয়াল-জবাবের পর তাঁদের প্রত্যেককে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।