Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে হানা ইডির! কী হাতে এল তদন্তকারী অফিসারদের

Civic Volunteer: জেলা পরিষদের সদস্যের সঙ্গে যে তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে, সেই কথাও উঠে আসে রাহুলের বক্তব্যে। বললেন, 'দাদা ডাকে। দাদার কাজ-কর্ম করে দিই। বাজার নিয়ে আসা, বাড়ির কাজ করে দেওয়া... এসব করি। প্রায় সাত-আট বছর ধরে সম্পর্ক জ্ঞানানন্দবাবুর সঙ্গে। '

Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে হানা ইডির! কী হাতে এল তদন্তকারী অফিসারদের
সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 6:37 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে আরও গতি আনছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সূত্র ধরে শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। এদিন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শহর ও শহরতলির একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে ইডি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপুরের জ্ঞানানন্দ সামন্তের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে ইডি। সেখানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। রাহুল বেরা নামে এই সিভিক ভলান্টিয়ার জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের ঘনিষ্ঠ বলেই জানা যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাহুল ছিল জ্ঞানানন্দের ছায়াসঙ্গী। এই রাহুল বিষ্ণুপুর থানার অধীনে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর রাহুল বেরার বাড়ি থেকে বেরোন ইডির অফিসাররা। তাঁর একটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, অনেকের থেকে টাকা নিয়ে চাকরিতে ঢোকানোর। শুধু তাই নয়, নিজের দুই ভাইপোকেও দুটি স্কুলে চাকরিতে ঢোকানোর অভিযোগও রয়েছে। যদিও পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে সেই চাকরি বাতিলও হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই এদিন বিষ্ণুপুর থানার ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে হানা দেন ইডির অফিসাররা। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কোনও নথি তাঁর কাছে রয়েছে কি না, বা রাহুল বেরা সেই সব বিষয়ে কিছু জানে কি না… সেই সব বিষয়েই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা।

প্রসঙ্গত, এদিন ইডির অফিসাররা রাহুল বেরার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। জেলা পরিষদের সদস্যের সঙ্গে যে তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে, সেই কথাও উঠে আসে রাহুলের বক্তব্যে। বললেন, ‘দাদা ডাকে। দাদার কাজ-কর্ম করে দিই। বাজার নিয়ে আসা, বাড়ির কাজ করে দেওয়া… এসব করি। প্রায় সাত-আট বছর ধরে সম্পর্ক জ্ঞানানন্দবাবুর সঙ্গে। ‘ ২০১৬ সালে সিভিকে কাজ পেয়েছেন তিনি। তাঁর বাড়ি থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই দাবি রাহুলের। বললেন, ‘আমি নিজেই চাকরি পাইনি, তা আর কী চাকরি দেব!’