কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অতিসক্রিয়তার’ অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস কমিশনের
৩১ টি আসনের ভোটে আজ ৬ জন প্রার্থী আক্রান্ত হন। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কলকাতা: ভোট শুরুর আগে মৃত্যু, মাঝে রক্তপাত, ও শেষে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। তৃতীয় দফার ভোটেও চেনা ছবির সাক্ষী থাকল বাংলা। তবে ধাপে ধাপে নির্বাচন যত এগোচ্ছে, বিজেপি ব্যাতীত বাকি রাজনৈতিক দলগুলির আঙুল, বিশেষ করে শাসকদল তৃণমূলের আঙুল উঠতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে। একাধিক এলাকায় আধাসেনা ‘অতিসক্রিয়’ হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরাসরি এ দিন একই অভিযোগ তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোটগ্রহণ শেষে রাজ্য কমিশনের দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব ও এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহন। তাঁরা জানান, ৩১ টি আসনের ভোটে আজ ৬ জন প্রার্থী আক্রান্ত হন। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে এ দিন একাধিক কারণে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
অন্যদিকে, আজ ভোট শুরু হওয়ার পর থেকেই যে যে এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘অতিসক্রিয়তার’ অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল খেলতে নেমে ফাউল করছে, বিজেপির জয় সুনিশ্চিত’
তৃতীয় দফায় ৩১ আসনের কোথাও বিক্ষোভ, বোমাবাজি, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও হিংসার জেরে প্রাণহানী হয়নি। তবে ধাপে ধাপে অশান্তির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া চিন্তায় রেখেছে কমিশনকে। এখনও যে পাঁচ দফার নির্বাচন বাকি। ফলে বাকি দফাগুলিতে কী হতে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে এখন থেকেই।
আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে স্বস্তি লালার! এখনই গ্রেফতারি নয়, রক্ষাকবচ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট