R G Kar Hospital: স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পরও আরজি করে অনশন তোলা নিয়ে ঝুলে রইল প্রশ্ন
R G Kar Hospital: শুক্রবার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে বৈঠকের পরেও অনশন উঠবে কি না তা স্পষ্ট করলেন না আর জি করের আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়ারা।
কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের (RG Kar Medical College Hospital) জট যেন কিছুতেই কাটছে না। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরও পড়ুয়ারা অনশন তুলবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই গেল। পড়ুয়াদের দাবি, এই বৈঠকে বাকি বিষয়ে কথা হলেও অধ্যক্ষের পদত্যাগের প্রসঙ্গে কোনও কথাই হয়নি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে বৈঠকের পরেও অনশন উঠবে কি না তা স্পষ্ট করলেন না আর জি করের আন্দোলনরত চিকিৎসক পড়ুয়ারা। এদিন ছাত্র-ছাত্রীদের হস্টেল সমস্যা, ছাত্রীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত দাবিদাওয়া মেটানোর আশ্বাসের পাশাপাশি আগামিদিনে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি মাধ্যম তৈরির আশ্বাসও দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব।
তবে অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি নিয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য, মৌখিক আশ্বাস লিখিত ভাবে নির্দেশিকা আকারে ছাত্র-ছাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। লিখিত নির্দেশ পাওয়ার পরই অনশন তোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
গত সপ্তাহেই হবু ও জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভ, অনশনের কারণে হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নন্দলাল তিওয়ারি নামে জনৈক ব্যক্তি। অবিলম্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের করেন নন্দলাল। চলতি সপ্তাহে সেই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
আরজি করের আন্দোলন নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখালেও কাজে যোগ দিতে হবে ইন্টার্নদের। এরপরই মঙ্গলবার থেকে ইন্টার্নরা কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানান। শুনানি চলাকালীন বিচারপতির বক্তব্য ছিল, আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে হবে। কোনও রকম মাইকিং করা যাবে না। একই সঙ্গে তিনি আন্দোলনকারীদের কাছে জানতে চান, ‘আপনাদের সমস্যা কাকে জানাতে চান?’। জবাবে আন্দোলনকারীরা বলেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলতে চান তাঁরা। মেন্টর গ্রুপে যাঁরা আছেন, তাঁদের উপর ভরসা নেই। একই সঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্য সচিবকেও জানাতে চান।
এরপরই বিচারপতি বলেন, ‘পরিষেবার কী হবে? আমরা যদি রেকর্ড চাই রোগী ভর্তির চেয়ে বেশি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা কি ভালো হবে আপনাদের জন্য? চাপে তো সবাই আছি। তার জন্য কাজ বন্ধ কি ঠিক?’ আন্দোলনকারীদের তরফে বলা হয়, ‘আমাদের জন্য শুধু কাজে ক্ষতি হচ্ছে এটা সঠিক নয়৷ ২২ দিন অনশনের পরেও সরকারের কোনও হেলদোল নেই।’ এদিনই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল ২৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ছাত্ররা।
আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। কলকাতা শহরের প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজগুলির মধ্যে অন্যতম। শহর তো বটেই, এ হাসপাতালে পরিষেবা নিতে আসেন গোটা রাজ্যের মানুষ। মরণাপন্ন রোগীকে প্রত্যন্ত কোনও এলাকা থেকেও আনা হয় এখানে! বাড়ির লোকজন ভাবেন, নামকরা হাসপাতাল। যদি রোগী বেঁচে যায়। সেই আরজি করে সম্প্রতি যে অচলাবস্থা তৈরি হয় স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরও বোধহয় সেই জট পুরোপুরি কাটল না।
আরও পড়ুন: Green Fire Crackers: দীপাবলি, ছটে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না, সবুজ বাজিও নিষিদ্ধ করল আদালত