Swastha Sathi Card: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে, ক্ষত ভরা পা নিয়ে হাসপাতালের বাইরে বসে রইলেন বৃদ্ধ!
Swastha Sathi: বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়েও হাসপাতালের বাইরে কয়েক ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করেও বিনা চিকিৎসায় ফিরতে হল এক মুর্মূষু রোগীকে। ঘটনাস্থল বেহালা (Behala)।
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) সদ্যই উত্তরবঙ্গ সফর থেকে স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi) কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু খোদ কলকাতাতেই (Kolkata) মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্যের ঘটনা ঘটল শুক্রবার। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়েও হাসপাতালের বাইরে কয়েক ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করেও বিনা চিকিৎসায় ফিরতে হল এক মুর্মূষু রোগীকে। ঘটনাস্থল বেহালা (Behala)।
বেহালা নারায়ণী নার্সিংহোম। এই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়ে বাইরে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় এক মুমূর্ষু রোগীকে। তাও মিলল না অ্যাডমিশন। পর্ণশ্রীর বাসিন্দা জনৈক বাসুদেব ভৌমিকের কয়েকদিন আগে পা কেটে গিয়েছিল। পরে সেই ক্ষতস্থান সেপটিক হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধকে নিয়ে আজ বেহালার সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে চাইলে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, দিন চারেক আগে পায়ের মারাত্মক ক্ষত নিয়ে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি হন বাসুদেব বাবুকে। তবে শুক্রবার ওই হাসপাতাল থেকে বলা হয়, তাঁর পায়ের অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে। যে পরিষেবা দ রকার তা সেখানে নেই। তাই বাসুদেববাবুকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাসুদেববাবুর পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে বেহালা নারায়ণী নার্সিংহোমে যান। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করাতে চাইলে সটান না বলে দেওয়া হয়। এর পর পায়ের তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করে কয়েক ঘণ্টা হাসপাতালের বাইরে খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করতে হয় অসুস্থ রোগীকে। হাসপাতালের একটা ট্রলিও জোটে না তাঁর।
রোগী পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখানো সত্ত্বেও ওই হাসপাতালেে ভর্তি নেওয়া হয়নি রোগীকে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, তাদের স্বাস্থ্যসাথীর ‘বেড ফুল’। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড-এ কোনও রোগীকে তাঁরা ভর্তি নিতে পারবেন না। তবে যদি নগদ টাকা থাকে তবে ভর্তি হওয়া যাবে।
কিন্তু বাসুদেব বাবু ও তাঁর পরিবারের এমন আর্থিক সামর্থ্য নেই যে বেসরকারি হাসপাতালে রেখে তাঁকে চিকিৎসা করাতে পারবেন। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। এদিকে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী শয্যা সংখ্যা যা তার ১০ শতাংস রোগী ভর্তি নিতে পারবে নার্সিংহোম। আর তাঁদের নার্সিংহোমে আর জায়গাই নেই। তাই তাঁরা ভর্তি নিতে পারবেন না। এখন পরিবারের লোকেদের প্রশ্ন, এত নিয়মের গেরো থাকলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে লাভ কী হল। প্রয়োজনের সময় তাঁদের মতো গরিব পরিবারের সদস্যরা তো সেই বিনা পরিষেবাতেই ভুগছেন। শেষমেষ প্রায় তিন ঘন্টা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করে পরে অসুস্থ বাসুদেববাবুকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: School Reopen: কারোর ১০টা, কারোর ১১টা, কখন কাদের ক্লাস? তালিকা প্রকাশ করল বোর্ড