Anti-rape bill: ফাঁসির আইন আনার ক্ষমতা কি মমতার আছে? কতটা ‘হাত-পা বাঁধা’ মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি শুধুই রাজনীতি?

Anti-rape bill: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে শোরগোল। দোষীদের শাস্তি চেয়ে সরব সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজনরা। ফাঁসির সাজা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রীও। এরকম নৃশংস ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি দিতে আইন আনতে চাইছে রাজ্য। আইন কি আনতে পারে রাজ্য? কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সংঘাত হলে কী হবে? পড়ুন টিভি৯ বাংলার বিশেষ প্রতিবেদন।

Anti-rape bill: ফাঁসির আইন আনার ক্ষমতা কি মমতার আছে?  কতটা 'হাত-পা বাঁধা' মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি শুধুই রাজনীতি?
৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভা পেশ হবে ধর্ষণ-বিরোধী বিল
Follow Us:
| Updated on: Aug 31, 2024 | 1:48 PM

কলকাতা: ‘রাত দখল’। মিছিল। ফাঁসির দাবি। গত ৯ অগস্ট থেকে শোরগোল বাংলায়। আরজি কর কাণ্ডে দোষীর ফাঁসি চেয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেওয়ার পর ১৫ দিন কেটে গেলেও সিবিআই কেন কিছু করতে পারছে না, সেই প্রশ্ন তিনি তুলেছেন। ধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনায় দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে ধর্ষণ বিরোধী বিল আনতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা সরকার। বুধবার রাজ্যের মন্ত্রিসভাও ওই বিলে অনুমোদন দিয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় ধর্ষণ-বিরোধী বিল পেশ করা হবে। এই অবস্থায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ধর্ষণের মতো ঘটনায় শাস্তির জন্য কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে। তারপরও কি কোনও রাজ্য পৃথক ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনতে পারে? কোন পথে সেই আইন রাজ্যে কার্যকর হতে পারে? কী বলছেন আইনজীবী ও বিশেষজ্ঞরা?

রাজ্য ধর্ষণ বিরোধী আইন আনতে পারে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের আগে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ঘটনার পরম্পরা।

আরজি করে ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতি-

এই খবরটিও পড়ুন

গত ৯ অগস্ট। শুক্রবার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর দেহ দান করা হবে। আর ওইদিন সকালে আরজি করের সেমিনার হল থেকে এক জুনিয়র ডাক্তারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠে। ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে সরব হন সাধারণ মানুষ। ‘রাত দখল’ করেন মহিলারা। ঘটনার পর দোষীর ফাঁসির সাজার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আবার শাসকদলকে লাগাতার আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বিরোধীরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।

ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত শাস্তির দাবিতে মোদীকে চিঠি মমতার-

আরজি করে জুনিয়র ডাক্তারের নৃশংস পরিণতিতে দোষীদের দ্রুত ফাঁসি চাই। ঘটনার পরপরই বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে কঠোর কেন্দ্রীয় আইন আনতে গত ২২ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। দিন চারেক পর মমতার চিঠির জবাব দেন নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, ১ জুলাই থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে রাজ্য সরকারের উদাসীনতার ছবি তুলে ধরেন তিনি। চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, চলতি বছরের ৩০ জুনের হিসেব বলছে, পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও আরও ১১টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে উদ্যোগ নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার।”

ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনার কথা বললেন মমতা-

২৮ অগস্ট, বুধবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর কাণ্ডের আবহে ওই সভায় মমতা কী বলেন, সেদিকে নজর ছিল সবার। আর ওই সভাতেই আরজি করের ঘটনার কথা উল্লেখ করে এমন নৃশংস ঘটনায় ফাঁসির সাজার কথা বললেন। তিনি বলেন, “কামদুনির কেসে ফাঁসি চেয়েছিলাম। হাইকোর্টের রায়ে দুজনের যাবজ্জীবন হয়। এখনও আমার কাছে ফাইল আসে যাতে ১০-১২ বছর হয়ে গেলে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। আমার প্রশ্ন যে ধর্ষণকারী, যে খুনী তাকে কেন ছেড়ে দেওয়া হবে? আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করলাম। আবেদন জানালাম। আপনি একটা ন্যায় সংহিতা তৈরি করেছেন তাতে দশ বছর-বারো বছর-ষোলো বছর-তারপর আরও একটা ধাপ। কেন? এই ন্যায় সংহিতা বানানোর কী দরকার ছিল? যারা ধর্ষক তাদের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি-ফাঁসি-ফাঁসি। আর কিছু নয়। এই একটা কাজে সব ঠান্ডা হবে।”

বুধবার TMCP-র সভায় ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এরপরই রাজ্যে ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। TMCP-র ওই সভায় তিনি বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পক্ষ থেকে আগামী দশ দিনের মধ্যে ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’, এই বিল পাশ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব। আমি জানি রাজার পাঠ। রাজাবাবু কিছু করবেন না। না করলে মেয়েরা রাজভবনে গিয়ে বসে থাকবেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এই বিল সই করতে হবে। আর রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়ে দায়িত্ব সারলে হবে না।”

মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধানসভায় বিল পেশের অনুমোদন-

বুধবারই (২৮ অগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানেই ধর্ষণ-বিরোধী বিল বিধানসভায় পেশের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে ৩ সেপ্টেম্বর বিলটি পেশ করা হবে।

ধর্ষণের মতো অপরাধে দোষীদের শাস্তির জন্য কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে। তারপরও কি ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনতে পারে রাজ্য?

প্রশ্ন শুনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, রাজ্য চাইলে আইন আনতে পারে। সংবিধানই সেই সুযোগ দিয়েছে। ভারতীয় সংবিধানের কনকারেন্ট লিস্টের আইটেম-১ এ ফৌজদারি আইনের উল্লেখ রয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য চাইলে আইন আনায় কোনও বাধা নেই। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জানালেন, বিধানসভায় বিল পাশের পর রাজ্যপালের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে। তারপর যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলেই রাজ্যে ওই আইন কার্যকর হবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ওই আইন কার্যকর হলেও আরজি কর কাণ্ড কিংবা তার আগে ঘটে যাওয়া কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে না। আইন পাশ হওয়ার পর ঘটনার ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে।

কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত বলেন, “কেন্দ্রীয় আইনের কোনও ধারার বিরোধী কোনও আইন প্রণয়ন করা যায় না। এছাড়া এই ধরনের বিল রাষ্ট্রপতির পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষ। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির কাছে আগে বিল পাঠাতে হবে রাজ্যকে। রাষ্ট্রপতি সব সীমারেখা বিচার করবেন। যদি তাঁর কোনও সংশয় থাকে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী তিনি সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি পরামর্শ চাইতে গেলে সুপ্রিম কোর্টে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। সব শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ দিতে পারে রাষ্ট্রপতিকে। সব সংশয় শেষ হলে তবেই আইন প্রণয়ন হতে পারে।”

প্রবীণ আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ বলেন, “এরকম আইন কার্যকর কার্যত সম্ভব নয়। কোনও ধর্ষণের ঘটনায় বাংলায় ফাঁসির সাজা আর অন্য রাজ্যে আর এক সাজা, তা সম্ভব নয়। যদি কেন্দ্রের আইনের সঙ্গে রাজ্যের আইনের বিরোধ হয়, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের আইন থাকবে। রাজ্যের আইন থাকবে না।” ভারতীয় সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, রাজ্য আইন তৈরি করলেও কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে বিরোধ বাধলে কেন্দ্রীয় আইন প্রাধান্য পাবে।

কী বলছে রাজনৈতিক দলগুলি?

ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে রাজ্য নিজস্ব আইন করতেই পারে। বলছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। একইসঙ্গে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের ‘সদিচ্ছা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। অধীর চৌধুরী বলেন, “ভারতের আইনে কি কাউকে ফাঁসি দেওয়া যায় না? নির্ভয়াকাণ্ডে কি ফাঁসি হয়নি? মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলছেন ফাঁসি দেব। আর প্রমাণ লোপাট করছেন।”

মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “কামদুনিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচার হবে। ফাঁসি হবে। তার মানে বন্দোবস্ত আছে বলেই তো মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন। ফাঁসি তো দেওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রী এমন ভাব দেখাচ্ছেন, যেন আইন নেই বলে সাজা দিতে পারছেন না। আইন রয়েছে, সেটা কার্যকারিতা করার জন্য সদিচ্ছা সরকারের নেই।”

ধর্ষণ-বিরোধী আইন আনা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পর কোনও বিল আনতে পারেন না?”

শুধু বাংলা নয়-

পশ্চিমবঙ্গের আগে আরও দুই রাজ্য রাজ্যে ফৌজদারি অপরাধ দমনে নিজস্ব আইন আনতে উদ্যোগী হয়েছে। মহিলাদের উপর নির্যাতন বন্ধে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দিশা বিল পাশ হয় অন্ধ্র প্রদেশ বিধানসভায়। ওই বছরের নভেম্বরে হায়দরাবাদে ২৬ বছর বয়সী এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে। তারপরই দ্রুত দোষীদের শাস্তি দিতে অন্ধ্র প্রদেশ বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে দিশা বিল পাশ হয়। সেই বিল এখন আটকে রাষ্ট্রপতির কাছে।

অন্ধ্র প্রদেশের বছর দুয়েক পর ফৌজদারি অপরাধ দমনে নিজস্ব আইন আনার চেষ্টা করে মহারাষ্ট্র। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে সর্বসম্মতিতে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শক্তি বিল পাশ হয়। সেই বিল পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। শিশু ও মহিলাদের উপর নির্যাতনে ফাঁসির সাজার কথা বলা হয়েছে ওই বিলে। সেই বিল এখনও পাশের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পড়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রের রাজ্যের নিজস্ব আইন যেন কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হয়। মহারাষ্ট্রে বদলাপুরের স্কুলের ঘটনার পর বিলটি পাশ করানোর দাবি উঠেছে।

Large_Image_ guskara news

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ।

আরজি কর কাণ্ডের পর সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। কোনও রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই মহিলারা একজোট হয়েছেন। ‘রাত দখল’ করেছেন। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, যেভাবে সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শাসকদলের কপালে। তৃণমূল সুপ্রিমোও প্রথম থেকে দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। এখানেই না থেমে এবার আইন আনতে পদক্ষেপ করলেন। রাজনীতির কারবারিদের মতে, রাজ্যবাসীকে শাসকদল বার্তা দিল, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে সচেষ্ট তারা। সেজন্যই বিল আনা। বিধানসভায় বিল পাশ হলে রাজ্যপাল, রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। সেখানে অনুমোদনের জন্য পড়ে থাকলেও রাজ্যবাসীকে বার্তা দেওয়া যাবে। আইন পাশ না করার জন্য কেন্দ্রের দিকে আঙুল উঠবে। এর আগে সিএএ-র বিরোধিতা করে বিধানসভায় প্রস্তাবনা পাশ করেছিল তৃণমূল। কেন্দ্র CAA কার্যকর করলেও রাজ্য যে সমর্থন করছে না, সেই বার্তাই সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল।

৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ধর্ষণ-বিরোধী বিল পাশ হওয়ার পর কী হবে? রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতি কি অনুমোদন দেবেন? নাকি বাকি দুই রাজ্যের মতো বাংলার বিলও আটকে থাকবে? এই বিল আনার ক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। ফলে এই বিলের ভবিষ্যৎ কী, সেই প্রশ্নের উত্তর শুধু ভবিষ্যতের গর্ভে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)