Sheikh Shahjahan: ডেরায় নেই সন্দেশখালির ‘বাঘ’, ভয় কাটিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ জমিহারাদের
Sheikh Shahjahan: ঝুপখালির মিনতি সর্দার বলছেন, ২৭ বিঘা জমির দলিল নিয়ে নিয়েছে। তারমধ্যে ৭ বিঘা আমরা ফেরত পেয়েছি। কিন্তু তাও এখন দখল করতে পারছি না। থানাকে জানাচ্ছি, বিডিওকে জানাচ্ছি। কিন্তু তারা কোনও কাজই করছে না।
কলকাতা: শেখ শাহজাহানের খোঁজে যৌথ সিট গঠনের পর ভয় ভেঙে মুখ খুলতে শুরু করেছেন জমিহারারা। ভয়কে দূরে সরিয়ে প্রকাশ্যে তাঁরা মুখ খুলছেন। বেড়মজুর, তেভাগার পর সরব ঝুপখালি, গোয়ালবুনি, আগারহাটি। সোজা কথায় স্থানীয় প্রশাসনের উপর চরম অনাস্থা সন্দেশখালির জমিহারাদের। ঝুপখালির মিনতি সর্দার, কল্পনা সর্দারের দাবি, আদিবাসী কমিশনের নির্দেশের পরেও তাঁরা জমিতে চাষ করতে পারছেন না। আগারহাটির বাসিন্দা সুদর্শন সর্দার নিজেও তৃণমূল কর্মী। একই দল করেও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে তিনি পারেননি। গত ডিসেম্বরে নিজের জমিতে চাষের অধিকার রক্ষা করতে রাজবাড়ি থানারা দ্বারস্থ হয়েছিলেন গোয়ালবুনির দুলাল সর্দার। কিন্তু, তাঁরও সেই একই অভিজ্ঞতা।
ঝুপখালির মিনতি সর্দার বলছেন, ২৭ বিঘা জমির দলিল নিয়ে নিয়েছে। তারমধ্যে ৭ বিঘা আমরা ফেরত পেয়েছি। কিন্তু তাও এখন দখল করতে পারছি না। থানাকে জানাচ্ছি, বিডিওকে জানাচ্ছি। কিন্তু তারা কোনও কাজই করছে না। পুলিশ বলছে, আমাদের কাছে কেন এসেছেন? চলে যান শেখ শাহজাহানের কাছে। ওনার ভাইয়ের কাছে যান।
ভয়ে সিঁটিয়ে আছেন কল্পনা সর্দারও। তিনি বলছেন, অনেক রকম হুমকি দেয়। তুলে নিয়ে যাবে, ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করবে এই বলে আমাদের ভয় দেখায়। আমরা থাকতেই পারছি না ওখানে। আগারহাটির বাসিন্দা সুদর্শন সর্দার বলছেন, আমাকে তো বলে দিল তোমাকে বারণ করছি তুমি আর জমিতে যাবে না। আমি বলি একইসঙ্গে দল-পার্টি করেছি। তুই কী বলছিস। আমার কথা শুনে ঘাড়টা ঘুরিয়ে রাখল। কোনও কথা বলল না। গোয়ালবুনির দুলাল সর্দারের গলাতেও একই সুর। তিনি বলছেন, জমি আমরা ফেরত চাই। আমরা গরিব মানুষ। না কাজ করলে আমাদের চলে না।