স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেশনে, মেয়েকে গঙ্গায় ফেলে নিজেও ঝাঁপ দিলেন বাবা

গত শুক্রবার মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে অনেকেই ওই দৃশ্য দেখেন। আজ উদ্ধার হল শিশুর দেহ।

স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেশনে, মেয়েকে গঙ্গায় ফেলে নিজেও ঝাঁপ দিলেন বাবা
মে্য়ে ইশানি ও বাবা তারক কুণ্ডু
Follow Us:
| Updated on: May 22, 2021 | 5:50 PM

বালি: স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। ভেন্টিলেশনে জারি জীবনযুদ্ধ। মানসিক অবসাদে সন্তানকে গঙ্গায় ছুঁড়ে নিজেও ঝাঁপ দিলেন বাবা। মানসিক চাপেই তিনি এমন কাজ করেছেন বলে অনুমান পুলিশের। শুক্রবার সকালে বালি ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দেন তারক কুণ্ডু নামে ওই ব্যক্তি। আজ, শনিবার তাঁর ৬ বছরের মেয়ে ইশানির দেহ উদ্ধার হয় গঙ্গার ঘাটে। বাবা তারক কুণ্ডুর খোঁজ চলছে এখনও। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কালে শুধু শারীরিক নয়, মনের অসুখও বাড়ছে সাধারণের। প্রাণবায়ুর অভাবে মৃত্যুর খবর আর আশেপাশে অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ প্রতিনিয়ত ভাবাচ্ছে মানুষকে। তাই স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় মানসিক চাপে এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে।

শুক্রবার সকালে বালি ব্রিজ থেকে শিশুকন্যাকে ছুঁড়ে ফেলে দেন ওই ব্যক্তি। মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে অনেকেরই চোখে পড়ে সেই দৃশ্য। ব্রিজ থেকে নিজেও মারণ ঝাঁপ দেন ওই ব্যক্তি। সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণেশ্বর থেকে বালির দিকে আসতে ২ নম্বর পিলারের সামনে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে থাকা শিশুকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলে তৎক্ষনাত নিজেও গঙ্গায় ঝাঁপ দেন। এরপরেই তদন্ত শুরু করে বালি থানার পুলিশ। শুরু হয় গঙ্গায় রিভার ট্রাফিক পুলিশের তল্লাশি।

আজ সকালে উত্তর ২৪ পরগনার একটি ঘাটে স্থানীয়রা এক শিশুর দেহ ভেসে থাকতে দেখে খবর দেন খড়দা থানায়। দেহ উদ্ধারের পর সেই শিশুর মৃতদেহের ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়। ছবি দেখে সন্দেহ হয় বালি নার পুলিশের। যোগাযোগ করা হয় খড়দা থানার সঙ্গে। পুলিশ জানিয়েছে ওই দেহ বরানগরের গোপাললাল ঠাকুর রোডের ঈশানী কুন্ডুর। ঈশানীর বাবা তারক কুন্ডু এখনও নিখোঁজ। খোঁজ চলছে তারক বাবুর। স্ত্রী নীলা কুন্ডু করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সেই দুশ্চিন্তায় তিনি এমন কাজ করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পশিমবঙ্গেই আছড়ে পড়তে চলেছে ‘ইয়াস’! শক্তি হতে পারে আমফানের মতোই

শুক্রবার সকালে দুধ আনার নাম করে মেয়ে ঈশানিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তারকবাবু। এর পরেই তাঁরা বালি ব্রিজে আসেন এবং মেয়েকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলে নিজেও ঝাঁপ দেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।