Fire at Jorabagan: চোখের সামনে ঝলসে গেল ৮টি বাড়ি, পুজোর মুখে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড জোড়াবাগানে

Fire at Jorabagan: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাঠগোলা এলাকার একটি বাড়িতে প্রথমে আগুন লাগে। বাড়িটির নীচে একটি কাঠের দোকান ও একটি চায়ের দোকান ছিল। সেখান থেকেই ক্রমশ আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়িগুলিতে। ঠিক সময়ে দমকল না গেলে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের।

Fire at Jorabagan: চোখের সামনে ঝলসে গেল ৮টি বাড়ি, পুজোর মুখে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড জোড়াবাগানে
দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুনImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2023 | 7:13 AM

কলকাতা: পুজোর আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। তার আগেই ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহর কলকাতায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভয়াবহ আগুনে ঝলসে গেল একের পর এক বাড়ি। জোড়াবাগান থানার নিমতলা ঘাট এলাকার কাঠগোলা স্ট্রিটের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। তবে তার আগেই ভস্মীভূত হয়ে যায় আটটি বাড়ি। এলাকার বাসিন্দারা তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন বাসিন্দারা। হতাহতের কোনও খবর নেই। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাঠগোলা এলাকার একটি বাড়িতে প্রথমে আগুন লাগে। বাড়িটির নীচে একটি কাঠের দোকান ও একটি চায়ের দোকান ছিল। সেখান থেকেই অল্প সময়ের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পরে আশপাশের বাড়িগুলিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দমকলের তৎপরতা না থাকলে আরও কিছু বাড়িতে আগুন লেগে যেতে পারত। ওই বাড়িগুলিতে যাঁরা থাকতেন, আগুনের খবর পেয়ে তাঁরা দ্রুত নেমে আসেন রাস্তায়। ফলে কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে পুজোর এভাবে বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা।

রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ২২ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি মীরা হাজরা। তাঁর মতে, কাঠগোলা রয়েছে বলেই আগুন লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে এই এলাকায়। শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। ঘিঞ্জি এলাকা বলেই বিপদের আশঙ্কা বেশি থাকে সবসময়। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতেই এলিয়ট রোডে এভাবেই রাতের অন্ধকারে বিধ্বংসী আগুন আগে একটি গোডাউনে। গোডাউনের ভিতর প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।