স্ট্র্যান্ড রোড অগ্নিকাণ্ড: স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে আজই দেখা করতে পারেন দমকল মন্ত্রী
সূত্রের খবর, এ দিন মৃত দমকল কর্মীদের (Strand Road Fire) পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, কালকের মধ্যেই ক্ষতিপূরণের ১০ লক্ষ টাকার চেক মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
কলকাতা: স্ট্র্যান্ড রোডের রেল ভবনের অগ্নিকাণ্ডে (Strand Road Fire) মৃত্যু হয়েছে ৯ ব্যক্তির। তালিকায় দমকল কর্মীদের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের এক এএসআই-ও সামিল রয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে রেল কর্মীদেরও। সূত্রের খবর, এ দিন মৃত দমকল কর্মীদের পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, কালকের মধ্যেই ক্ষতিপূরণের ১০ লক্ষ টাকার চেক মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, আজ দুপুর ১২ টা নাগাদ রেলের ভবনে ভস্মীভূত ১৩ তলায় যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। সেখানে পৌঁছে প্রাথমিক নমুনা সংগ্রহ করেন। প্রাথমিক তদন্ত চালিয়ে জানানো হয়, শর্টসার্কিটের কারণেই স্ট্র্যান্ড রোডের ভবনের ১৩ তলায় আগুন লাগে। ওভার লোডিংয়ের জেরেই শর্টসার্কিট হয় এবং তা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সার্ভার রুমে ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে রেলের ভবনে হাজির হয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জুড়ে নমুনা সংগ্রহ করেন।
সূত্রের খবর, সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট হাতে পেলেই আগুন কীভাবে লাগল সেই কারণ স্পষ্ট হবে। মঙ্গলবার স্ট্র্যান্ড রোডের রেলের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পৌঁছে অগ্নিকাণ্ডে মৃত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও একটি সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ক্ষতিপূরণের টাকাই এক-দুদিনের মধ্যে স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন: স্ট্র্যান্ড রোডের আগুনে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত! ঘুরপথে রেলের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের দমকলের
অন্যদিকে, এ দিন ঘটনাস্থলে এসে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আগুনের ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে শোকপ্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী যদিও গতকাল রেলের উদাসীনতার দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তবে রাজ্যপাল এ দিন অকুস্থলে পৌঁছে রেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্যপাল দাবি করেন, রেলের পক্ষ থেকেই প্রথমে এই আগুনের খবর দেওয়া হয়েছিল দমকলে। এবং আগাগোড়াই রেল গোটা ঘটনায় সহযোগিতা করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, পার্কস্ট্রিটের স্টিফেন কোর্টে অগ্নিকাণ্ডের পরে প্রযুক্তিগত দিক থেকে দমকল বিভাগকে উন্নত করার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা হয়নি। কাল দুর্ঘটনায় যে দমকল কর্মী ও পুলিশের মৃত্যু হয়েছে তা প্রযুক্তিগত খামতি থাকার কারণেই।
আরও পড়ুন: জতুগৃহ কলকাতা! এর আগে কত বার কান্নায় ভেসেছে শহর, ঝলসে গিয়েছে শরীর?