Firhad Hakim: ‘কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়, আমি ছাড়ব না,’ সিইএসসি ও কেএমসি-কে হুঁশিয়ারি ফিরহাদের

electrocution: "শুধু আমাদের এখানে নয়, বম্বে, দিল্লি, আহমেদাবাদ, কলকাতা, মাদ্রাজ- সব জায়গাতেই জল জমে। কারণ, মেঘ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে। এই ধরনের বৃষ্টি হবে কোনও আরবান প্লেসে, আগে বুঝতে পারিনি।''

Firhad Hakim: 'কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়, আমি ছাড়ব না,' সিইএসসি ও কেএমসি-কে হুঁশিয়ারি ফিরহাদের
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুতে সিইএসসি ও কেএমসিকে কড়া বার্তা ফিরহাদের। (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 1:50 PM

কলকাতা: ‘কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাহলে আমি ছাড়ব না,’ সিইএসসি (CESC) ও কেএমসি (KMC)-এর কমিশনারকে হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতার (Kolkata) পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সমর্থনে চেতলায় ভোট প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের পরিবহণ ও আবাসন মন্ত্রী।

এদিন সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার করতে ফিরহাদ হাকিম নিজের এলাকা চেতলায় যান। সেখানে কলকাতার জলযন্ত্রণা ও গত কয়েকদিনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুলতে শোনা যায় তাঁকে। তাঁর কথায়, “বিভিন্ন জায়গায় খোলা তার পড়ে রয়েছে… আমি সিইএসসি (CESC) ও কেএমসি (KMC)- এর কমিশনারকে বলেছি, কেউ যদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তাহলে আমি ছাড়ব না। খোলা তার থাকলেও এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।

উল্লেখ্য, গত শেষ চার দিনে ১৩ জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। আর এরই মধ্যে একে অন্যের উপর দোষ দিতে ব্যস্ত। কীভাবে নিজের ঘাড়ের উপর থেকে দায় সরানো যায়, তা নিয়েই তৎপর সবাই। আগে ফিরহাদ হাকিমও এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির জন্য সরাসরি আক্রমণ করলেন বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসিকে (CESC)। তবে তিনি এও জানান, সিইএসসি-কে সতর্ক করেও লাভ হচ্ছে না। তবে এবার তাদের সতর্ক করতে শোনা গেল পুর প্রশাসককে।

এদিন ফিরহাদ বলেন, “সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ৩০ তারিখ মানুষ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে বড় ব্যবধানে জিত হবে। কারণ, বৃষ্টিবাধা আসতে পারে। আসন্ন বৃষ্টির জন্য পুরসভা পুরোপুরি ভাবে তৈরি রয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে তাতে ওয়াটার লগিং হতেই পারে।” এর আগে কলকাতার জল দুর্ভোগের জন্য উত্তরাখণ্ডকে দায়ী করেছিলেন ফিরহাদ। এদিন আবার তিনি বলেন, “শুধু আমাদের এখানে নয়, বম্বে, দিল্লি, আহমেদাবাদ, কলকাতা, মাদ্রাজ- সব জায়গাতেই জল জমে। কারণ, মেঘ ভেঙে বৃষ্টি হচ্ছে। এই ধরনের বৃষ্টি হবে কোনও আরবান প্লেসে, আগে বুঝতে পারিনি। যদি এই বৃষ্টিকে সামাল দিতে হয় তাহলে যে ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরি করলে করতে হবে তাকে দশ হাজার থেকে পনেরো হাজার কোটি টাকা লাগবে শুধু কলকাতাতেই। এই জল বার করতে যে বড়ো পাইপ বসাতে হবে তারও জায়গা নেই কলকাতায়।”

এর পর তিনি শহরের বুকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনায় কলকাতা পুরসভা ও বিদ্যউ বণ্টনকারী সংস্থাকে দায়ী করেছেন। অন্যদিকে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের পরিবারকেে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছেন। এমনকি এই দুর্ঘটনার দায় কার তার তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলা করতে পারেন বলেও খবর। এই প্রেক্ষিতে ফিরহাদের এই হুঁশিয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিন আবার মমতার হয়ে ভোট প্রচারে এসে বিজেপিকে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে আক্রমণ করেন ফিরহাদ। বলেন, “উন্নয়ন- আমাদের একটাই এজেন্ডা। বাংলাকে সাম্প্রদায়িক মুক্ত রাখতে হবে। দুষ্কৃতী মুক্ত রাখতে হবে। বাংলার উন্নয়ন কে অব্যাহত রাখতে হবে, বাংলার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বাংলার উন্নয়ন করতে হবে। সেই এজেন্ডায় যারা মাঝে মাঝে বাইরে থেকে এসে বড় বড় কথা বলছেন, গেস্ট হিসেবে তিনি স্মৃতি ইরানি। কোনওদিন রাজনীতি করেননি। উনি হচ্ছেন পলিটিক্যাল ট্যুরিস্ট। তাই ওঁনাকে বলি মানুষ এর স্বার্থে কাজ ‘শাস ভি কভি বহু থি’-তে কাজ এক নয়”।

আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘উন্নয়ন বয়ে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে,’ ভবানীপুরের জলযন্ত্রণার ছবি দিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর